ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে কোরবানির পশু চাহিদার চেয়েও বেশি, দামও বেশি

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ১৮ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১০:৫৯, ১৮ জুলাই ২০২১
লক্ষ্মীপুরে কোরবানির পশু চাহিদার চেয়েও বেশি, দামও বেশি

লক্ষ্মীপুরে এবার চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩০ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু বেশি রয়েছে, এ তথ্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের। ক্রেতারা বলছেন, তবুও গরুর দাম বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা।

এদিকে গরুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সংশ্লিষ্টরাসহ অনেকেই এখন তা মানছেন না। ফলে করোনার উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকি এ জেলায় আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় এ বছর কোরবানির জন্য প্রায় ৭০ হাজার গরুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়। এ জেলায় সাড়ে ৩ হাজার খামারির সংগ্রহে থাকা ও বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারিদের আনা গরু মিলিয়ে বর্তমানে এখানে প্রায় ১ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে।

এসব খামারি ও ব্যাপারিরা এখন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে তাদের সংগ্রহে থাকা পশু ভালো লাভে বিক্রির প্রত্যাশা করছেন। এসব পশু বিভিন্ন হাটে উঠাচ্ছেন তারা।

শনিবার (১৭ জুলাই) একাধিক খামারি ও ব্যাপারি জানিয়েছেন, তাদের সংগ্রহে থাকা পশু সর্বনিম্ম ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে।  

ক্রেতারা বলছেন, গতবারের তুলনায় প্রতি গরুতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। কেউ কেউ ব্যাপারিদের সিন্ডিকেট রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কঠোর লকডাউন শিথিল করে স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতায় সীমিত পরিসরে হাট বসানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।  

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ গরু বাজারের অনুমোদন রয়েছে।  তবে জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক গরুর হাট মিলেছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রায়পুরের মোল্লার হাট, কমলনগরের মতিরহাট, তোরাবগঞ্জ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে গরুর হাট মিলেছে বলেও জানা গেছে। এসব হাটের একটিতেও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছেনা।  

লক্ষ্মীপুর পৌর গরু বাজারসহ একাধিক গরু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাস্ক ছাড়া ঘোরা ফেরা করছেন অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা। শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা হাটে ঘুরছেন। এছাড়া গরু বাজারের মূল ফটকে হ্যান্ড স্যানেটাইজার,সাবান পানি, জীবানুনাশক স্প্রে থাকার কথা থাকলেও তা চোখে পড়েনি।

কয়েকটি হাটে পুলিশ সদস্যদের শুধু অবস্থানই দেখা গেছে। এসব হাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা জেলা প্রশাসনের তৎপরতা এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে করোনার উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

তবে জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, গরুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাঠে গরু বাজার না বসানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে বাজার বসালে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

জাহাঙ্গীর লিটন/টিপু

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়