পাটুরিয়ায় যানবাহনের চাপ, বৃষ্টিতে ভোগান্তি
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পাটুরিয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে আরিচা কাম নদী ফায়ার স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ গাড়ি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। ঘাট এলাকায় যানজট এড়াতে ছোট গাড়ির যাত্রীদের আগেই নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার তীব্র যানজট
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এসব যাত্রীদের ভিজে ঘাট এলাকায় যেতে হচ্ছে। এছাড়া, শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও কয়েকশো ব্যক্তিগত গাড়ি এ নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। যানজট এড়াতে প্রাইভেটকার, হায়েস ও ছোট গাড়িগুলো টেপড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে দশচিড়া সড়ক দিয়ে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে পাঠাচ্ছে পুলিশ। লঞ্চ ঘাট এলাকায়ও যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। যানবাহনের চাপ আর হঠাৎ বৃষ্টিতে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল ৮ থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাচ্ছেন ইয়াসির আরাফাত নামে এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘গাবতলী থেকে ডিলিংকের গাড়িতে করে ঘাট এলাকায় এসেছি। তবে গাড়িগুলো সরাসরি ঘাট এলাকায় আসে না। আগেই নামিয়ে দিয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ঘাটে এলাম।’
বর্ষা আক্তার নামের এক যাত্রী বলেন, ‘বৃষ্টিতে কোথাও দাঁড়ানোর জায়গা পায়নি। সব জায়গাতেই মানুষ। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই লঞ্চ ঘাটে চলে এলাম।’
আরসিএল মোড় এলাকা থেকে বাসচালক রুবেল বলেন, ‘এক ঘণ্টা ধরে এখানে অপেক্ষা করছি। দূর পাল্লার বাসের সঙ্গে ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে। কখন নদী পার হতে পারবো বুঝতে পারছি না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন পারাপারে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি যানবাহন, দূর পাল্লার বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে।’
জাহিদুল হক/ইভা
আরো পড়ুন