ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ঈদে জমজমাট মৌসুমী ঘাসের ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ২০ জুলাই ২০২১  
ঈদে জমজমাট মৌসুমী ঘাসের ব্যবসা

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা, যা কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এ ঈদে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। এজন্য আগে থেকে কোরবানির জন্য গরু, ছাগল ইত্যাদি কেনেন তারা। আর পশুর জন্য খাবার হিসেবে ঘাস, শুকনো খড় আর কাঁঠাল পাতার প্রয়োজন পড়ে। এ কারণে মৌসুমী ঘাস ব্যবসায়ীরা সিলেট নগরের বিভিন্ন স্থানে বসেছেন ঘাস আর শুকনো খড় নিয়ে; তাদের বিক্রিও বেশ জমজমাট।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বিকেলে নগরের জেলরোডে কথা হয় মৌসুমী ঘাস ব্যবসায়ী রনজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, প্রতি বছরে কোরবানির ঈদের সময় তিনি শুকনো খড় আর কাঁচা ঘাস বিক্রির জন্য শহরে নিয়ে আসেন। অবশ্য গ্রামে এসবের কদর নেই। শহরে ভালো দাম পাওয়া যায়। প্রতি আঁটি কাঁচা ঘাস ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।

ইসলামপুর বাজারে কথা হয় মৌসুমী ব্যবসায়ী আইনুল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, কাঁচা ঘাস আঁটি প্রতি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করছেন। পাশাপাশি গরুর মাংস কাটার জন্য ব্যবহৃত কাঠের টুকরোও বিক্রি করছেন। যার দাম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। 

শিবগঞ্জে শুকনো খড় নিয়ে বসেছেন আঙুর আলী। তিনি বলেন, গ্রামে গরুকে খাওয়ানোর জন্য ঘাসের অভাব হয় না বলে এসব জিনিসের কদর নেই। কিন্তু শহরে দু-একদিনের জন্য গরু বাসায় রাখলেও খাবারের প্রয়োজন পড়ে। তাই ঘাস ও শুকনো খড়ের চাহিদা রয়েছে। প্রতি আঁটি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি।

জেলরোডে কাঁচা ঘাস কিনে নিচ্ছিলেন মিরাবাজারের বাসিন্দা আলী আহমদ। তিনি বলেন, ‘আজ হাট থেকে গরু কিনেছি। এখন রাতে বাসায় গরু রাখতে হবে। এজন্য ৫ আঁটি কাঁচা ঘাস এবং শুকনো খড় কিনে নিয়েছি।’

শিবগঞ্জের বাসিন্দা আমিনুল বলেন, ‘দুই দিন আগে একটি ছাগল কিনেছি। ছাগলের প্রিয় খাবার কাঁঠালপাতা। তাই ছাগলের জন্য কাঁঠালপাতা কিনলাম।’ 

শুধু কাঁচা ঘাস আর শুকনো খড় নয়, কোরবানির ঈদ ঘিরে চাটাই, গাছের গুঁড়ি, ছুরির চাহিদাও বেড়েছে। চাঁটাই প্রতি পিস ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর ছুরি প্রকার ভেদে ১০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

নোমান/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়