লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও খুলনার সড়ক জনশূন্য
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও খুলনার সড়ক-মহাসড়ক ফাঁকা রয়েছে। ব্যস্ততম রাস্তা জনশূন্য প্রায়। বিভাগীয় শহর খুলনার প্রবেশ দ্বার ও ব্যস্ততম সড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে।
শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে শহরের প্রবেশদ্বারগুলোতে চেকপোস্টে সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ে। এখানে পণ্যবাহী ট্রাক, যৌক্তিক কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবার যানবাহন ব্যতীত অন্য কোন পরিবহন শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
একই অবস্থা মহানগরীর জিরোপয়েন্ট গল্লামারী এলাকায়। সেখানে চেকপোস্ট বসিয়ে শহরে যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করা হচ্ছে।
শিববাড়ী কেডিএ এভিনিউ, সোনাডাঙ্গা থানা সংলগ্ন বাইপাস রোড, মজিদ সরণীসহ ব্যস্ততম সড়কে বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।
বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় অলিগলিতে কয়েকটি ইজিবাইক চলতে দেখা গেলেও মূল সড়কে শুধু রিকশা ও মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য কোন গণপরিবহন লক্ষ্য করা যায়নি।
এদিকে, লকডাউনের প্রথম দিন (শুক্রবার) খুলনা মহানগরীতে বিধি নিষেধ অমান্য করায় ৩১ জনকে ৩১টি মামলায় ১৭ হাজার ২৫০ জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে, তা পালনের জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসন। লকডাউনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যাদের সঙ্গে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, জেলাব্যাপী লকডাউন কার্যকর করতে জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসক ও স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আমাদের সঙ্গে সব সময় রয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ। ‘লকডাউন’ সফল করতে জেলার নয় থানায় ২৯টি চেক পোস্ট বসানো রয়েছে। ৪১টি টহল গাড়ির টিম সমগ্র জেলায় কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, খুলনায় এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫৪৯ জনের। শুক্রবার ৩৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৩৬ শতাংশ।
খুলনা/নূরুজ্জামান/টিপু
আরো পড়ুন