ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নদীতে কাঙ্খিত ইলিশ না পেয়ে হাতিয়ার জেলেরা হতাশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ২৫ জুলাই ২০২১   আপডেট: ০৮:৫৪, ২৫ জুলাই ২০২১
নদীতে কাঙ্খিত ইলিশ না পেয়ে হাতিয়ার জেলেরা হতাশ

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ ধরতে নেমেছে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা। তবে প্রত্যাশিত ইলিশ মিলছে না জেলেদের জালে। কাঙ্খিত ইলিশের দেখা না পেয়ে হতাশ হাতিয়ার জেলেরা।

অবশ্য মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, এই মাসে তেমন ইলিশ  পাওয়া যাবেনা। নদীতে ইলিশের দেখা মিলবে আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে।

জানা যায়, হাতিয়ার জেলেরা বুড়িরদোনা ঘাট,  কাজির বাজার, সুইজের বাজার, রহমত বাজার, আছকা বাজার, সোনাদিয়া, চরচেঙ্গা, লম্বরিয়া, তমরুদ্দি বাজার, জাহাজমারা কাটাখালি, বাংলা বাজার ও নিঝুমদ্বীপের নামার বাজারে সারি সারি ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারের জন্য অবস্থান করছে। জেলেরা মাছ শিকার করে আবার এই ঘাটগুলোতেই ফিরে আসে।

শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে দেখা যায়, হাতিয়ার বুড়িরদোনা ঘাটে সারি করে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে বসে আছে জেলেরা। ট্রলার নিয়ে অপেক্ষায় থাকা জেলে কামাল মাঝি বলেন, মাছ পেলে আমাদের সংসার চলে। আবহাওয়া ভাল ছিল না। আমরা তেমন মাছ পাই নাই। আজ তিন দিনের প্রস্তুতি নিয়ে সমুদ্রে যাব। এমনিতেই দুই মাসে অনেক টাকার ঋণের মধ্যে আছি।

ফারুক মাঝি নামের আরেক জেলে বলেন, গতকাল যে ইলিশ মাছ পেয়েছি তা আকারে অনেক ছোট। নদীর কাছাকাছি থেকে মাছ ধরেছি। গতবার এই সময়ে যে মাছ পেতাম এবার সেই রকম মাছ নেই। পর্যাপ্ত পরিমান মাছ পাবো এটাই আল্লাহর কাছে আমাদের চাওয়া।

হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস বলেন, গতকাল বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা কম মাছ পেয়েছে। তবে আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে নদীতে পুরোদমে মাছ পাওয়া যাবে। এখন নদীর তলদেশে মাছ রয়েছে। উপরিভাগে তেমন একটা মাছ নেই।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. মোতালেব হোসেন বলেন, মধ্যরাত থেকে জেলেরা নদীতে ট্রলার ভাসিয়েছে। দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে তারা নদীতে নেমেছে। সরকার ইলিশ মাছ বড় হতে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। আমরা ধারণা করছি ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, ইলিশ মাছের বংশ বৃদ্ধির জন্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। নোয়াখালী জেলায় মোট ৪০ হাজার জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে সমুদ্রে মাছ ধরেন ৯ হাজার ৮৬৪ জন জেলে। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে ৯ হাজার ৮৬৪ জন সমুদ্রগামী জেলেকে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।

সুজন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়