ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

একটু বৃষ্টিতে দুর্ভোগে দুই গ্রামের হাজারো মানুষ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৬, ২৫ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১২:০৯, ২৫ জুলাই ২০২১
একটু বৃষ্টিতে দুর্ভোগে দুই গ্রামের হাজারো মানুষ

একটু বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে কাদা ও গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরের সারোটিয়া গাজি ও পাছ আরড়া গ্রামের হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দপ্তিয়র ইউনিয়নের এই দুই গ্রাম বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হলেও রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় অন্ধকারাচ্ছন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ধূনাইল-দৌলতপুর ভায়া সারোটিয়া গাজি ও পাছ আরড়া চার কিলোমিটার কাঁচা সড়কটিতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। বৃষ্টি হলে কেবল যে কাদা পানিতে নাকাল হতে হয়, তাই নয়- বর্ষাকালে এ রাস্তার মাঝপথে অবস্থিত খালে পানি ঢুকলে নৌকা দিয়ে পার হতে হয়।

স্থানীয়রা জানান, আশপাশের কাঁচা রাস্তাগুলো পাকা হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পূর্ণাঙ্গভাবে এ রাস্তাটি পাকা করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতারা রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচিত হওয়ার পর সবই ভুলে যান। অথচ এই রাস্তা দিয়ে দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল। বর্ষায় রাস্তাটি কর্দমাক্ত হওয়ার পর যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হাঁটাও কষ্টসাধ্য।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রচণ্ড কাদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। শিক্ষার্থীরা সময় মতো স্কুল কলেজে যেতে পারে না। এমনকি অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

স্থানীয় সারোটিয়া গাজি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম আলোক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এ রাস্তাটি দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র অবলম্বন। এই রাস্তা দিয়েই গ্রামের মানুষের উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাট বাজারে নিয়ে যেতে হয়। বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা-অটোরিকশা কিছুই চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সময়মতো যেতে পারেনা।

ওই গ্রামের মনির হোসেন বলেন, কত রাস্তাই তো ঠিক হয়, কিন্তু আমাদের এ রাস্তাটা পাকা হচ্ছে না কেন? গ্রামের সন্তান সম্ভবা প্রসূতিদের হাসপাতালে নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে।

দপ্তিয়র ইউপি চেয়ারম্যান এম ফিরোজ সিদ্দিকী বলেন, গ্রাম দুটির যোগাযোগের সমস্যা দীর্ঘদিনের। ইউনিয়ন পরিষদের ছোট প্রকল্প দিয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হলে মেগা প্রকল্প হাতে নিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।

আবু কাওছার/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়