ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

খুলনার টিকা কেন্দ্রে ‘হ য ব র ল’ অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৯, ২৭ জুলাই ২০২১  
খুলনার টিকা কেন্দ্রে ‘হ য ব র ল’ অবস্থা

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রের চিত্র

খুলনা নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারী কলোনির বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব সুফিয়া খাতুন টিকা নেওয়ার জন্য খুলনা জেনারেল  হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রের সামনে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ৯ টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।

তার অভিযোগ, লাইন আর সামনের দিকে এগোচ্ছে না। তবে, দীর্ঘ সোয়া দুই ঘণ্টা পর বেলা সোয়া ১১ টায় তিনি এসএমএস চেক পয়েন্টের সামনে পৌঁছাতে পারলেও পেছন থেকে অন্য এক নারী দ্রুত কাগজপত্র দেখিয়ে ভেতরে টিকা দিতে চলে যান। এ সময় সুফিয়া সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাননি।

শুধু সুফিয়া খাতুন নন, একইভাবে নগরীর খালিশপুর পোড়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা তানজিয়া খানম ও নগরীর গল্লামারী ব্যাংক কোয়ার্টারের বাসিন্দা মাহাতাবুর রহমানও একই ধরণের অভিযোগ করেছেন। টিকা কেন্দ্রে বিরাজ করছে এক ‘হ য ব র ল’ অবস্থা।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সিরিয়াল ভঙ্গ ও স্থান সঙ্কটের কারণে মানুষের সমাগম ও টিকা দেওয়ার এসএমএস জটিলতা নিয়ে টিকা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই এ পরিস্থিতি, অভিযোগ টিকা নিতে আসা অনেকের। এছাড়া সেখানে স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না।   

স্বামীর সঙ্গে টিকা নিতে আসা নগরীর খালিশপুর পোড়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা তানজিয়া খানম অভিযোগ করে বলেন, আমার টিকা কেন্দ্র খালিশপুরস্থ তিতুমীর নেভি ক্যাম্পে। সেখানে না দিয়ে আমাদের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখানে প্রচুর ভিড়। একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়াতে হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে বুথে গিয়েছি। সেখানেও আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ভ্যাকসিন নিয়েছি। তাছাড়া এখানকার ব্যবস্থাপনা মোটেই ভাল না। সিরিয়াল মেইন্টেইন নেই। সবকিছুর পরিবেশ বাজে। পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র নেই। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর আধাঘণ্টা ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের টিকা দেওয়ার পর বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

নগরীর গল্লামারী ব্যাংক কোয়ার্টারের বাসিন্দা মাহাতাবুর রহমান সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের আবেদন করেছিলেন। এখনও মোবাইলে কোনো এসএমএস আসেনি। তিনি শুনেছেন,  এসএমএস ছাড়া টিকা দেওয়া যায়। তাই সকাল ৯ টায় কেন্দ্রে এসে টিকা দেওয়ার জন্য দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করেন। অপেক্ষার ফলাফল না পেয়ে তিনি হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন জানান, এখানে জায়গার অনেক স্বল্পতা রয়েছে। মানুষ সচেতন না। যতক্ষণ তারা নিজেদের ব্যাপারটা বুঝতে পারবে ততক্ষণ আমরা এ অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করতে পারব না।

তবে অভিযোগের ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, অনেকেই অনেক ধরণের অভিযোগ করবে। সেটা ধরা যাবেনা। আমরা নিয়ম মাফিক আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

খুলনা/নূরুজ্জামান/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়