ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না পেয়ে ফিরেছেন অনেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ৮ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ২২:৩৫, ৮ আগস্ট ২০২১
লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না পেয়ে ফিরেছেন অনেকে

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি টিকাদান কেন্দ্র শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ওই কেন্দ্রের বাহিরে করোনার টিকা নিতে আসা জনসাধারণের দীর্ঘ সারি লেগেই ছিলো সকাল থেকে।

টিকা গ্রহিতাদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের। তবে দুপুরের পরই টিকা নেই উল্লেখ করে বন্ধ করে দেওয়া হয় টিকাদান, যে কারণে দীর্ঘসময় লাইনে থেকেও টিকা দিতে পারেননি অনেকেই।

শুধু এই কেন্দ্রই নয়, সিলেট নগরের ৮১ কেন্দ্রের বেশিরভাগেই প্রতিদিনের টিকার পরিমাণের থেকেও কয়েকগুণ বেশি টিকাগ্রহিতা ভিড় করেছিলেন। কিন্তু সিরিয়ালের ৩৫০ জনকেই টিকা প্রদান করা হয়েছে কেন্দ্রে।

অবশ্য, যারা টিকা দিতে পারেননি, তাদের হতাশ না হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছে সিসিকের পক্ষ থেকে। আরও বলা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সিসিকের ২৭ ওয়ার্ডের ৮১টি কেন্দ্রে শনিবার (০৭ আগস্ট) থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনে ২২ হাজার ৭৫৩ জন এবং আজ রোববার (০৮ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনে আরও ২৬ হাজার জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।

এর বাইরে সিলেট সিটির টিকাগ্রহিতাদের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা পুলিশ হাসপাতালেও নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মোবাইলে মেসেজ পাওয়া সাপেক্ষে এ দুই কেন্দ্রে গিয়ে যথারীতি টিকা নিতে পারছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সিসিকের কাউন্সিলররা জানান, করোনার টিকা গ্রহণে জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এ কারণে সকল টিকাদান কেন্দ্রে টিকা গ্রহীতাদের ভিড় লক্ষণীয় ছিল। তারা নিজ নিজ ওয়ার্ডের বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিয়ে আগেই নিবন্ধন কার্যক্রম করে নিয়েছিলেন। এর বাইরে অনেকে কেন্দ্রে সরাসরি নিবন্ধন করে টিকা নিতে পেরেছেন। তবে টিকার পরিমাণ কম থাকায় অনেককেই টিকা না নিয়ে কেন্দ্র থেকে ফেরত যেতে হয়েছে।

রোববার দুপুরে ২০নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ হাতিম আলী বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, টিকা গ্রহিতার দীর্ঘ সারি। সেখানে কথা হয় ফয়সল আহমদের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি টিকাকেন্দ্রে এসেছেন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পর তিনি আজ প্রথম ডোজ নিতে পেরেছেন। তবে তার সঙ্গে আসা পরিবারের অন্য দুই সদস্য আজকে টিকা দিতে পারেননি।

লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না দিতে পারা আবু তাহের জানান, সকাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু ৩৫০ জনকে টিকা দেওয়ার পর তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, আজ আর টিকা দেওয়া হবে না। এ কারণে তিনি চলে গেছেন।

সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদ এ বিষয়ে জানান, সিটি এলাকার প্রতিটি কেন্দ্রে ২০০ জনের টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু টিকা গ্রহিতার সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে পরে অতিরিক্ত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেই হিসেবে প্রতি কেন্দ্রেই আজ ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সিলেট সিটি এলাকায় আগামীকালও (সোমবার) টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। যারা টিকা দিতে পারেননি, তারা হতাশ হবেন না; কাল তারা সিরিয়াল অনুসারে টিকা নিতে পারবেন। পাশাপাশি নিবন্ধিত সকলেই পর্যায়ক্রমে করোনার টিকা দিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

নোমান/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়