ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় ১০৭০ জাতের বরবটির বীজ বপন, ফলন আসেনি

শাহীন গোলদার, সাতক্ষীরা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২০, ১৮ আগস্ট ২০২১  
সাতক্ষীরায় ১০৭০ জাতের বরবটির বীজ বপন, ফলন আসেনি

সাতক্ষীরার সদর উপজেলায় লালতীর সিড কোম্পানির হাইব্রিড ১০৭০ জাতের বরবটির বীজ বপন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিন শতাধিক কৃষক। কৃষকরা বলছেন, ডিলারের কাছ থেকে বীজ কিনে বপনের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও গাছে ফলন আসেনি।

লালতীর কোম্পানি বলছে, নিম্নমানের বীজ নয়, আবহাওয়াজনিত সমস্যার কারণে ফলন আসেনি। আর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ওই জমিতে স্বল্প মেয়াদি সবজি চাষাবাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, সদর উপজেলার কৃষকরা প্রতিবছর মাছের ঘেরের আইলে মাচা করে বরবটি চাষ করেন। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হন। কিন্তু এ বছর একেবারে ভিন্ন চিত্র। 

সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, আলামিনসহ কয়েকজন কৃষক জানান, দেড় হাজার টাকা দিয়ে ডিলারদের কাছ থেকে লালতীর কোম্পানির ১০৭০ জাতের বরবটির বীজ কিনে ঘেরের আইলে বপন করেন তারা। গাছও হয়েছে। বপনের ৪৫ দিন পর গাছে ফলন আসার কথা থাকলেও তিন মাস পেরিয়ে গেলেও গাছে ফুল ও ফল আসেনি। 

সদর উপজেলার কাশেমপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমাতে বরবটির গাছ ধ্বংস করে স্বল্পমেয়দি সবজি চাষাবাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

সাতক্ষীরার লালতীর সিড কোম্পানির ডিলার মো. আক্তার আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কৃষকদের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। 
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, লালতীর কোম্পানির ১০৭০ জাতের হাইব্রিড বীজ বপন করে গাছ হয়েছে। কিন্তু ফুল ও ফল আসেনি। ক্ষতির পরিমাণ কমাতে বরবটির গাছ ধ্বংস করে স্বল্প মেয়াদি সবজি চাষাবাদের পরামর্শ দেন তিনি। 

লালতীর সিড কোম্পানি লিমিটেডের খুলনা বিভাগীয় রিজিওনাল অফিসার মো. ফখর উদ্দীন জানান, আবহাওয়াজনিত কারণে গাছে ফলন আসেনি। এটা বীজের সমস্যা না। সুতরাং ক্ষতিপূরণের প্রশ্নই আসে না। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরামর্শগত সকল প্রকার সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়