ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মেহেরপুরে হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ২৬ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৫:৩৩, ২৬ আগস্ট ২০২১
মেহেরপুরে হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

রায়ের পর সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছে

মেহেরপুর সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামের আলম হত্যা মামলায় স্ত্রী সাফিয়া খাতুনসহ ৩ আসামি খোকন, মুকুল ও আসাদুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস ওই রায় দেন।

নিহত আলমের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী সাফিয়া খাতুন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের আহসান আলীর মেয়ে এবং খোকন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের আসির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে, মুকুল চুয়াডাঙ্গার শংকর চন্দ্রপুর গ্রামের টেঙ্গর ওরফে হোসেন আলীর ছেলে ও আসাদুল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মেহেরপুর সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রাম থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যক্তির দুই হাত কাঁচা পাট দিয়ে বাঁধা ছিল। মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর মর্গে পাঠানো হয়। পরে তার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি বলিয়ারপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে আলম বলে জানা যায়।

ওই ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানার তৎকালীন এসআই শওকত আলী বাদী হয়ে দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন বাড়াদী ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুস সালাম মিয়া প্রাথমিক তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে নিহত আলমের স্ত্রী সাফিয়া খাতুনসহ অন্য তিন আসামি খোকন, মুকুল, আসাদুল দোষী প্রমাণিত হয়।

আলমের স্ত্রী সাফিয়ার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরেই আসামিরা আলমকে কৌশলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধার করা হলেও পরে নিহতের পরিচয় মেলে। পুলিশের তদন্ত শেষে নিহত আলমের স্ত্রী সাফিয়াকে গ্রেপ্তার করার পর আলম হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজি শহীদ এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান কৌশলী ছিলেন।

মহাসিন আলী/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়