ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

যমুনার পানি বিপৎসীমার উপরে, বগুড়ায় ফসলি জমি প্লাবিত

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১  
যমুনার পানি বিপৎসীমার উপরে, বগুড়ায় ফসলি জমি প্লাবিত

বগুড়ায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর মথুড়াপাড়া এই পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে সোনাতলা এবং সারিয়াকান্দি উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ১১ হাজার ১৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৫১৪ হেক্টর ফসলি জমি।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় এবং  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে সোনাতলার মধুপুর, পাকুল্যা ও তেকানি চুকাইনগর এবং সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর ও সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের ৬৭ গ্রামের ৪৫ হাজার ২শ’ মানুষ পানিবন্দি হয়ে নিদারুণ কষ্টে জীবনযাপন করছে। প্লাবিত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। সরকারিভাবে যে পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বেসরকারিভাবে কোন সংস্থা বা সংগঠন থেকে এখন পর্যন্ত ঐ এলাকাগুলোতে ‍ত্রাণ নিয়ে যায়নি। এছাড়া এসব এলাকার রোপা আমন, বীজতলা, মাশকলাই, পাটসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজহার আলী বলেন, তার ইউনিয়নের চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলে যেসব বাড়িঘর ছিলো সেগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি এসব মানুষদের জন্য এখন পর্যন্ত ২ টন চাল পেয়েছিলাম। আরো ৩ টন বরাদ্দ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কার্যালয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আজিজার রহমান বলেন, এখনই ফসলের ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব না। পানি নেমে যাওয়ার পর বোঝা যাবে কি পরিমাণ ক্ষতি হলো। এখন পর্যন্ত বন্যায় ৫১৪ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে ১৪০ হেক্টর রোপা আমন।

বগুড়া পা‌নি উন্নয়ন বো‌র্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, পানিবৃদ্ধি ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে। এর ২-৩দিন পর কমতে শুরু করবে। মোট কথা চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার উপরেই থাকবে। 

বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম বলেন, আমরা সব সময় বন্যা পরিস্থিতির খবর রাখছি। এখন পর্যন্ত বন্যা প্রবণ এলাকাগুলোতে ১২০ মেট্রিক টন জিআর চাল উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  এর মধ্যে সারিয়াকান্দিতে ৮০ টন এবং বাকি দুই উপজেলায় ২০ টন করে দেওয়া আছে। এছাড়া বন্যার্তদের জন্য ৫০০০ প্যাকেট শুকনো খাবারের চাহিদা দেওয়া আছে মন্ত্রণালয়ে। বরাদ্ধ মিললেই বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

বগুড়া/ এনাম/ এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়