খুলে রাখা হয়েছে তিস্তার ব্যারেজের সব জলকপাট
নীলফামারী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২.৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। (এখানে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সে.মি.)
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাটই খুলে রাখা হয়েছে। এতে করে তিস্তা নদী বেষ্টিত বিভিন্ন চরাঞ্চলের ১০ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বন্যা কবলিত ওমর ফারুক (২৮), রাহেনা বেগম (৪৮), কালাম মিয়া (৪৫) জানান, তিস্তা নদীর পানি গত দুই মাস ধরেই বাড়ছে ও কমছে। এতে তাদের বাড়ি ঘরেও পানি উঠছে ও নামছে। ফলে তারা খুব কস্টে দিন পার করছেন।
ডিমলা উপজেলার পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে করে ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরস্বর ও পুর্ব ছাতনাই গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, তিস্তার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউনিয়নের প্রায় সহস্রাধিক পরিবার এরই মধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ভেন্ডাবাড়ি চড়ের দুই নম্বর স্পারবাঁধটির দেড়শ’ মিটার ভেঙে গেছে । এতে দুই শত পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। আবারো পানি বাড়ায় সহস্রাধিক পরিবার আতঙ্কে রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলি আসফাউদৌলা জানান, উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ভোর ৬ টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯ টায় তা বেড়ে ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্যরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, তিস্তা নদী এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছি। বন্যা কবলিতদের শুকনো খাবার দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সিথুন/টিপু
আরো পড়ুন