ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার না করায় বিপাকে বাদী

নওগাঁ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  
ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার না করায় বিপাকে বাদী

নওগাঁর মহাদেবপুরে কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষ্ণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি তিন আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। হুমকি দিচ্ছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের মামলা প্রত্যাহারের জন্য।

পুলিশ বলছে আসামীদের নিয়ে যাচাই বাছাই চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা পেলে তবেই বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।  

তবে আইনজীবী বলছেন এজাহার ভুক্ত আসামিদের নিয়ে পুলিশের যাচাই বাছাই করার কোনো সুযোগ নেই। পুলিশ মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করতে পারবেন আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য বা মিথ্যে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই ভুক্তভোগী কিশোরী বিদ্যালয়ে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় উপজেলার এনায়েতপুর উনিয়নের কালুশহর মোল্লাপাড়া গ্রামের প্রদীপ রবিদাস তার তিন সযোগীকে নিয়ে ওই কিশোরীকে জোর করে সিএনজিতে উঠিয়ে নেয়।  পরে তারা ওই কিশোরীকে ধামইরহাট উপজেলায় প্রদীপের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষ্ণ করে। পরে ২০ জুলাই ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরীকে উদ্ধার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়।

ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান না হওয়ায় ২১ আগস্ট ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রদীপসহ চার জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার পরের দিন পুলিশ প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও এখনো বাঁকি তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে এবং মামলার বাদীকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন।

কিশোরী বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের ধরছেন না। পুলিশ না ধরার তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য ভয় দেখাচ্ছে। মামলা উঠিয়ে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা। এ অবস্থায় আমি বাড়ি থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছি।’

মামলার তদন্তকারী কর্ম্কর্তা্ মহাদেবপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর, মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাঁকি আসামিদের নিয়ে যাচাই বাছাই চলছে। তারা প্রকৃত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তবেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

নওগাঁ জেলা আইনজীবী বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি  মো. সরদার সালাউদ্দীন মিন্টু বলেন, ‘মামলা হবার পর পুলিশের প্রথম দায়িত্ব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা। এর পর পুলিশ মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করতে পারবে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য বা মিথ্যে।’

সাজু/মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়