ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যশোরে এহসান রিয়েল এস্টেটের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক,যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  
যশোরে এহসান রিয়েল এস্টেটের বিরুদ্ধে মামলা

যশোরে এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) যশোর শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার মোছা. রহিমা খাতুন ও সতীঘাটা কামালপুর গ্রামের মো. ওসমান গাজীর পক্ষে মামলা দুইটি করেন শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার মফিজুল ইসলাম ইমন।

পরে যশোর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ আহম্মেদ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তভার প্রদান করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুফতি আবু তাহের নদভী, প্রধান নির্বাহী ব্যবস্থাপক কাজী রবিউল ইসলাম, জুনায়েদ আলী, পরিচালক আজিজুর রহমান, পরিচালক মঈন উদ্দিন, পরিচালক খুলনার মুফতি গোলাম রহমান।

এছাড়াও ওই মামলা দুটিতে আসামি করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আব্দুল মতিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) আমিনুল হক, কলিমুল্লাহ কলি, পরিচালক মিজানুর রহমান, পরিচালক মুফতি মো. ইউনুস আহম্মেদ, পরিচালক মনিরুল ইসলাম, পরিচালক আইয়ুব আলী, পরিচালক সামসুজ্জামান টিটু, ব্যবস্থাপক (যশোর শাখা) আতাউল্লাহ, আব্দুল হালিম, মাঠকর্মী সিরাজুল ইসলাম (সোনামিয়া),

আরো আসামি হলেন যশোরে উপশহর এলাকার বাসিন্দা শামসুর রহমান, সমন্বয়কারী সেক্রেটারি বাবুর আলী, আব্দুল হক, এস এম সেলিম উল চৌধুরী, মোকসেদ আলী, মুফতি ফুরকান আহমেদ, লোকমান হোসেন, মোহাম্মদ আলী ও আক্তারুজ্জামান।

মোছা. রহিমা খাতুনের পক্ষে করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, লোভে পড়ে মোছা. রহিমা খাতুন ২০১৩ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা লগ্নি করেন এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডে।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা তাকে মুনাফা ও আসল টাকা কোনোটায় ফেরত দেয়নি।  টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় তিনি আদালতে মামলা করেন।

অন্যদিকে, ওসমান গাজীর পক্ষে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি সিরাজুল ইসলাম মাঠকর্মী সেক্রেটারি পরিচয় দিয়ে তাকে অর্থ লগ্নি করতে প্রলোভন দেন।  ওসমান গাজী ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা লগ্নি করেন।  

সর্বশেষ চলতি বছরের ২০ আগস্ট তাদের কাছে লগ্নিকৃত টাকা ফেরত চাইলে তারা আসামিরা টাকা দিতে অস্বীকার জানায়।

কবির/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়