অভয়নগরে নিজ ঘরে বোমা বানাতে গিয়ে যুবক ক্ষত-বিক্ষত
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম
যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাজঘাট কার্পেটিং বাজার নামক এলাকায় নিজ ঘরে বোমা বানাতে গিয়ে শপ্পা (৩৬) নামের এক যুবক ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন। তার একটি হাতের তিনটি আঙ্গুল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে চোখ, মুখমণ্ডল ও বুক। সেই সাথে দুই পায়ে মারাত্মক জখম হয়েছে।
বোমাটি তৈরিকালে তার হাতেই বিস্ফোরিত হয় বলে পুলিশের ধারনা।
গভীর রাতে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বোমা বিস্ফোরণের ফলে ওই ঘরের টিনের চাল উড়ে যায় এবং দেয়ালে ফাটল সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে এ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় শপ্পা নিজ ঘরের দরজা লাগিয়ে ভিতরে বোমা তৈরি করছিলো বলে শপ্পার পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছে।
আহত শপ্পা ওই এলাকার ইব্রাহিম মোল্যার ছেলে। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ৫টি ধারালো রামদা উদ্ধার করেছে। তার নামে থানায় ইতোপূর্বে সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের মামলা রয়েছে।
পুলিশ, শপ্পার পরিবার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, শপ্পা একজন বোমা তৈরির কারিগর। সে নিজ ঘরে বোমা বানানোর সময় বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিয়া জাহান বলেন, ‘বোমার স্প্লিন্টারে তার চোখ-মুখমণ্ডলসহ শরীরের সামনের পুরো অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। চোখের ভিতর বোমার স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে বলেও প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। তাছাড়া তার শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশংকা রয়েছে। সবমিলিয়ে ভিকটিমের অবস্থা গুরুত্বর। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এ কেএম শামীম আহসান জানান, নিজ ঘরে বোমা তৈরিকালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ওই ঘরের চৌকির নিচ থেকে পাঁচটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। আহতকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
রিটন/আমিনুল
আরো পড়ুন