ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

চাটমোহর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যা চলছে

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৫:৩৭, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
চাটমোহর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যা চলছে

পাবনার চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। যেকোনো জরুরী রোগী গেলেই পাবনা অথবা রাজশাহীতে নিয়ে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

অন্যদিকে যেসব রোগীকে ভর্তি করা হয়, তাদের দ্রুত শয্যায় নিতে গড়িমসি দেখান নার্সরা। রোগীর দিকে ঠিকমতো নজর না দিয়ে তারা খোশগল্পে ব্যস্ত থাকেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তাদের ক্ষোভের কথা লিখছেন।

চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের জবেরপুর গ্রামের রেজাউল করিম তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন ‘জবেরপুর গ্রামের আজিজল হককে বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মাহমুদুল হাসান রোগীকে না দেখে পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে বিষয়টি তিনি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে সেই রোগীকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

পৌর সদরের নারিকেলপাড়া মহল্লার শিহাব আকরাম বলেন, গত ৩০ জুলাই পায়ের হাঁটু কেটে গিয়ে হাড়ে আঘাত লেগেছিল। সেলাই করে প্লাস্টার করে দেওয়ার মতো ব্যাপার। কিন্তু হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা না দিয়েই বলে দেন পাবনায় চলে যান। এখানে হবে না। পরে টিএইচ সাহেবকে ফোন করে বলার পর তিনি আমার চিকিৎসা করান। এখন আমি প্রায় সুস্থ।

বাহাদুরপুর গ্রামের মঞ্জু হোসেন জানান, সম্প্রতি তিনি তার বাবার হার্টের সমস্যা হওয়ায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত দুইজন চিকিৎসক না দেখেই বলে দেন পাবনা বা রাজশাহীতে নিয়ে যান। এখানে ভাল চিকিৎসা হবে না। তারপরও চাপাচাপিতে হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। ভর্তির কাগজ নিয়ে উপরে গেলে নার্সরা রোগীকে বেডে নিতে বিলম্ব করেন। তারা খোশগল্পে বেশি ব্যস্ত থাকেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, তার মাথায় আঘাত লেগে ফুলে উঠেছিল। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গেলে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে বলেন পাবনায় যান। অথচ তেমন বড় ধরনের আঘাত ছিল না। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা পেলে সুস্থ হতাম। পরে বাইরে থেকে ডাক্তার দেখিয়ে আমি সুস্থ।

অভিযুক্ত চিকিৎসক ডাক্তার মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। আমরা চেষ্টা করি সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার। কোনো রোগীর বেশি খারাপ অবস্থা থাকলে তাকে রেফার্ড করি। তাছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে আমাদের অনীহা নেই। কেউ যদি মনে করে তার রোগীকে চিকিৎসা দেইনি। তাহলে তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। আমি সেখানে জবাব দেবো।

হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ওমর ফারুক বুলবুল বলেন, একজন ভুক্তভোগী আসছিলেন। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। কেউ চিকিৎসা সেবা নিতে এসে হয়রানী হলে তাদের বলবো, আপনারা কোন চিকিৎসকের দ্বারা হয়রানী হয়েছেন তাদের নাম পদবী উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

শাহীন রহমান/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়