স্কুল ছাত্র হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি

পাবনায় চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু (১৪) হত্যা মামলায় আব্দুল হাদি (৩১) নামের একজনকে  মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় সাগর ওরফে সান নামের অপর এক আসামিকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এই রায় ঘোষণা করেন।  

নিহত মিশু পাবনা শহরের শালগাড়িয়া কসাইপট্টি মহল্লার মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মহসিন আলম ছালামের ছেলে ও পাবনা কলেক্টরেট স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবি এপিপি সালমা আক্তার শিলু বলেন, ২০১৬ সালে ২৩ মার্চ পাবনা কালেক্টরেট স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু প্রাইভেট পড়তে যান। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় মিশু একটি মোবাইল ফোন দিয়ে তার মাকে ফোন দিয়ে জানায় সে তার বন্ধুদের সঙ্গে আছে বাড়ি ফিরতে দেরি হবে।  সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত হলেও মিশু আর বাড়ি ফেরেনি।  অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের সদস্যরা একটি লিচু বাগান থেকে মিশুর লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ২৪ মার্চ মিশুর বাবা মহসিন আলম সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই মোবাইল ফোনের কললিষ্ট ধরেই তদন্ত করে আব্দুল হাদি ও সাগর ওরফে সানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

পরে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৪৪ ধারায় জবানবন্দী দেন।

দীর্ঘ শুনানির পর আদালত মিশু হত্যার অপরাধে আব্দুল হাদীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এ সময় সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় সাগর ওরফে সানকে খালাস দেওয়া হয়।  

আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার বলেন,এই হত্যা মামলায় দু’জন শিশু আসামী ছিল। যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। বছর খানেক আগে পাবনার শিশু আদালতে বিচারক রুস্তম আলী একজনকে ১০ বছরের কারাদন্ড ও অপর একজনকে বেকুসুর খালাস দিয়েছিলেন।