ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

সিসিকের ৮৩৯ কোটি টাকার বাজেট পেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  
সিসিকের ৮৩৯ কোটি টাকার বাজেট পেশ

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৮৩৯ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা বিগত অর্থ বছরের তুলনায় ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বেশি।  

করোনাকালে ২০২০-২১ অর্থবছরে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ৭৪৩ কোটি ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। গত বাজেটের মতো এ অর্থবছরের বাজেটেও আয় এবং ব্যয় সমান ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরের একটি কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বাজেট ঘোষণা করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।  

নতুন সিলেট গড়ার স্বপ্ন নিয়ে প্রস্তাবিত এ বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, ‘সম্প্রতি সিসিক এলাকা বর্ধিত করা হয়েছে। এ কারণে সিটি কর্পোরেশনের কাজের পরিধি ও ব্যাপ্তি আরো বৃদ্ধি করতে হবে।  এটি আমাদের জন্য নতুন একটি চ্যালেঞ্জ। তাই পরিকল্পিত নগরায়ন ও নাগরিকদের অধিকতর সুবিধা ও সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে এবারের বাজেট গত অর্থবছরের থেকে বেড়েছে।’

মেয়র ৮৩৯ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আয় ও সমপরিমাণ ব্যয় ধরে বাজেট ঘোষণা করেন। বাজেটে সিসিকের নিজস্ব খাতে ৮২ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা আয় এবং রাজস্ব খাতে সর্বমোট ৮০ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

আয়ের অন্যতম খাত হিসেবে হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে ৪৪ কোটি ৯২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আয় ধরা হয়েছে।  এছাড়া স্থাবর সম্পত্তি হস্থান্তরের উপর কর ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনঃ নির্মাণের উপর কর ২ দুই কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার উপর কর ৬ কোটি ৫০ পঞ্চাশ লাখ টাকা, বিজ্ঞাপনের উপর কর ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা, বিভিন্ন মার্কেটের দোকান গ্রহীতার নাম পরিবর্তনের ফি ও নবায়ন ফিস  বাবদ ৯০ লক্ষ টাকা, ঠিকাদারী তালিকাভুক্তি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা, বাস টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ৫৫ লক্ষ টাকা,  ট্রাক টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ১৭ লক্ষ টাকা,  খেয়াঘাট ইজারা বাবদ ১৬  লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ১ কোটি টাকা, রোড রোলার ভাড়া বাবদ আয় ৬০ লক্ষ টাকা,  রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ বাবদ আয় ৫০ লক্ষ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, পানির লাইনের সংযোগ ও পুনঃসংযোগ ফিস বাবদ ৮০ লাখ টাকা, নলকুপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।

এছাড়া  রাজস্ব খাতে সর্বমোট ৮০ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ সংস্থাপন খাতে ৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা, শিক্ষা ব্যয় খাতে ৬ কোটি ৮ লাখ  টাকা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য ও প্রয়ঃপ্রণালী খাতে ব্যয় বাবদ ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ খাতে ব্যয় ৫০ লক্ষ টাকা, বৃক্ষ রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় খাতে ২০ লক্ষ টাকা, মোকদ্দমা ফি ও পরিচালনা ব্যয় বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা, জাতীয় দিবস উদযাপন ব্যয় খাতে ৭০ লক্ষ টাকা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন ব্যয় খাতে ৫০ লক্ষ টাকা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি ব্যয় খাতে ১৫ লক্ষ টাকা, মেয়র কাপ ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্ণামেন্ট ব্যয় বরাদ্দ ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, মেয়র কাপ ব্যাটমিনটন টুর্ণামেন্ট ব্যয় বরাদ্দ ৩০ লক্ষ টাকা, রিলিফ/জরুরী ত্রাণ ব্যয় বরাদ্দ ১ কোটি টাকা, আকষ্মিক দুর্যোগ/বিপর্যয়/করোনা ব্যয় বরাদ্দ ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, রাস্তা আলোকিত করন ব্যয় বরাদ্দ ৩ কোটি টাকা, কার্যালয়/ভবন ভাড়া বাবদ বরাদ্দ ১ কোটি টাকা, নিরাপত্তা/সিকিউরিটি পুলিশিং ব্যয় খাতে ৫০ লক্ষ টাকা, ডিজিটাল মেলা আয়োজনে ব্যয় বরাদ্দ ৩০ লক্ষ টাকা। অনান্য ব্যয় খাতে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া পানি সরবরাহ শাখার সংস্থাপন ব্যয় সহ পানির লাইনের সংযোগ ব্যয়, পাম্প হাউজ, মেশিন, পাইপ লাইন মেরামত ও সংস্কার সহ সর্বমোট ১২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

বাজেটে মেয়র নগরের উন্নয়নে নানা পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। বাজেট ঘোষনা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সিসিকের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

নোমান/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়