ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ছেলের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় বাড়ি ছাড়তে হলো বাবা-মায়ের 

মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১  
ছেলের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় বাড়ি ছাড়তে হলো বাবা-মায়ের 

কৃষক পিতা মুজিবর রহমানের অপরাধ তিনি ছেলের বাল্যবিয়ে মেনে নেননি। এ কারণে মেয়ের বাড়ির লোকজনের মারধরের শিকার হয়ে তাকে ছাড়তে হয়েছে ভিটেমাটি। ঘটনা থানা পর্যন্ত গড়ালেও মুজিবর রহমান পাননি সঠিক বিচার।

মুজিবর রহমানের বড় ছেলে ইয়াছির আরাফাতের সঙ্গে প্রতিবেশী মিটুলের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একই স্কুলে প্রাইভেট পড়ার সূত্র ধরে দুজনের সম্পর্ক আরো গভীর হয়। আরাফাত নবম শ্রেণি এবং ওই মেয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত দুই মাস আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করে। মেয়ের পরিবার বিয়ে মেনে নিলেও ছেলের বাবা-মা বিয়ে মেনে নেয়নি।

মেয়েপক্ষ সামাজিকভাবে ক্ষমতাধর এবং সম্ভান্ত্র বংশের হওয়ায় তারা নানাভাবে ছেলের বাড়িতে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু মুজিবর সিদ্ধান্তে অটল থাকায় তাকে নানাভাবে অপদস্থ এমনকি শারীরিক নির্যাতন করে মেয়েপক্ষের লোকজন। মুজিবর জানান, একমাত্র ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ছেলেটা তার সব স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে। মেয়ের বয়স কম- মাত্র এইটে পড়ে। ফলে তার প্রশ্ন- মেয়ের পরিবার কী করে এমন বাল্যবিয়ে মেনে নিলো?

নাকোল ইউনিয়নের ঘাসিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা মুজিবর বলেন, আমার সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষে মেয়েপক্ষের বাড়ি হওয়ায় তারা মোটেও আমাদের সহ্য করতে পারছে না। চলতি মাসের ১২ তারিখ মেয়েপক্ষের লোকজন আমাকে মারধোর করে। বলে- এখান থেকে চলে যাবি, না হলে জানে মেরে ফেলবো।

এরপর শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মুজিবর। তার অভিযোগ- পুলিশ আসে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। তারা তদন্ত করে চলে যায়। আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দেওয়া হচ্ছে। উপায়ন্তর না দেখে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে মেয়ের বাবা মিটুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে মাগুরা শ্রীপুর থানায় মুজিবর বাদী হয়ে যে অভিযোগপত্র দিয়েছেন তার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা অভিযোগের তদন্ত করতে মুজিবরের বাড়ি গিয়েছিলাম। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনার সত্যতা পেলে মেয়েপক্ষের লোকজনকে খবর দিয়েছিলাম। কিন্তু এ সময় বাদী মুজিবর জানান তারা সালিশে বসে ঝামেলা মিটিয়ে নেবে। ফলে পরে কী হয়েছে জানি না।’

তবে যদি প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় এবং অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

শাহীন/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়