ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ২ শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১  
আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ২ শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

পেশা বেসরকরি বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা। কিন্তু এ পরিচয়ের আড়ালে মানুষকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করতেন দুই নারী। অবশেষে এক ব্যক্তিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত দুই নারী হলেন, আইরিন ইয়াসমিন লিজা (৩৪) ও শামীমা আক্তার (২৪)। আইরিনের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার বালিচ গ্রামে। আর শামীমা ঢাকার সাভারের ডেন্ডাবর নতুনপাড়ার বাসিন্দা। দুজনেই ঢাকার সাভারের বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে মজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মজিবুর রহমান রাজশাহীতে প্লট কেনাবেচা এবং প্রাইভেটকার ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করতেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মহানগরীর উপশহরের দুই নম্বর সেক্টরের একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ছেলে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দুই নারী শিক্ষকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে মৃত মজিবুর রহমানের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, শিক্ষকতা পেশার আড়ালে এ দুই নারী মানুষকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে আইরিন জানিয়েছেন মজিবুর রহমানের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিলো। ৬ ফেব্রুয়ারি তারা দুজন স্বেচ্ছায় মজিবুরের বাড়ি আসেন। রাতে তারা মজিবুরের পাশের ঘরে শুয়েছিলেন। তখন মজিবুর রহমান ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে আইরিনকে তার ঘরে ডাকেন। আইরিন না গেলে ম্যাসেঞ্জারে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর মজিবুর জানান রাত ৩টার মধ্যে আইরিন না গেলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। তখন আইরিন ম্যাসেঞ্জার এবং এসএমএসের মাধ্যমে মজিবুর রহমানকে মরতেই বলেন। অভিমানে মজিবুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

পরে সকালে আইরিন ও শামীমা তার ঝুলন্ত লাশ দেখে বাড়ি থেকে মজিবুরের মোবাইল ফোন, বাড়ির চাবি, নগদ চার লাখ টাকা ও কিছু কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে আরএমপি কমিশনার বলেন, এ দুই নারী ব্ল্যাকমেইল চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। দুজনকে মজিবুরের আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তানজিমুল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়