ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

শরীয়তপুরে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

শরীয়তপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৮:২৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
শরীয়তপুরে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

শরীয়তপুর সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।  পরে আদালতের বিচারক আব্দুস সালাম মামলাটি নথিভূক্ত করতে সদর পালং থানাকে নির্দেশ দেন।

মামলায় মাসুদ রানা (২৩) ও শোলপারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুন মোল্যাকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাদীপক্ষের  আইনজীবী শহীদুল ইসলাম এসব কথা জানান। 

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার একটি গ্রামের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে মাসুদ রানা গত দুই বছর ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় স্থানীয় ভাবে বিচার- সালিশ হয়েছে।  কিন্তু মাসুদ রানা তারপরও ওই ছাত্রীকে বিরক্ত করছিলেন। ২৩ সেপ্টেম্বর স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যান মাসুদ রানা।  এরপর শোলপাড়া ইউনিয় পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুন মোল্যার সহায়তায় মাসুদ রানা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।  

ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী বলেন, ‘মাসুদ রানা আমাকে অনেকদিন-ধরে বিরক্ত করতেন।  বিভিন্ন সময় হুমকি দিতেন। তিনি আমার সঙ্গে যে আচরন করেছেন, তা ভয়ঙ্কর। আমি মাসুদ রানার বিচার চাই। ’

ভুক্তভোগীর ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি আমার মেয়েকে অনেক কষ্ট করে স্কুলে পড়া-লেখা করাই।  আমরা গরীব মানুষ। তার আত্মীয় স্বজনকে জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।  কিন্তু তিনি আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করবে তা বুঝতে পারিনি। থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্ত হয়েছি। আমি একজন বাবা হিসেবে মাসুদ এবং তার সঙ্গে জড়িতদের সবার বিচার চাই।’

মামলার আসামি শোলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুন মোল্যা বলেন, ‘মাসুদ রানা আমার ওয়ার্ডের ভোটার। তিনি মেয়েটিকে নিয়ে পালাচ্ছিল।  এ কারণে মামলায় আমাকে জড়ানো হয়েছে। আর স্থানীয় ভাবে মুরব্বিদের নিয়ে বিষয়টি সিমাংসা করা হয়েছে। ‘

মামলার পর থেকে মাসুদ রানা পলাতক। তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বাদীপক্ষের  আইনজীবী শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘থানায় মামলা করতে না পেরে ভুক্তভোগী পরিবার আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। আদালত তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগটি পালং থানাকে নথিভূক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।’

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘আদালতের আদেশের কপি এখনো হাতে পৌঁছায়নি।  কপি থানায় এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

ইমন/মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়