নাগরিক সমস্যা সমাধানে কাজ করছে পুলিশ : আইজিপি

পশ্চিমা দেশে সোশ্যাল মিডিয়া সিটিজেন রিপোর্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হলেও দেশে তা গুজব ও মিথ্যা ঘটনা রটানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, ‘পশ্চিমা গণমাধ্যমের মাতব্বররা সোশ্যাল মিডিয়ায় সিটিজেন রিপোর্টিং অর্থাৎ নাগরিক কর্তৃক রিপোর্টিংয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। তারা নাগরিক সমস্যা তুলে ধরায় পুলিশ তা সমাধানে কাজ করছে। কিন্তু বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহৃত হচ্ছে গুজব ও মিথ্যা ঘটনা রটানোর জন্য।’

মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘হাজারটা মিথ্যা, গুজব, চরিত্র হনন ও কুৎসা রটনার মধ্যেও আমরা ভালো সংবাদ খুঁজছি। পুলিশ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, টুইটারসহ সোশ্যাল মিডিয়ার সব অনুসর্গে তৎপর রয়েছে। ভালো সংবাদ আমাদের উৎসাহিত করে।’

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত কবরস্থানের নামফলক উন্মোচন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নিজস্ব অর্থায়নে ২৯ শতক জমিতে নির্মিত কবরস্থান ও মসজিদের নামফলক উন্মোচন করেন পুলিশ প্রধান। পরে সেখানে বৃক্ষরোপণ করেন।

মেঘনা নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় দুই হাজার পরিবার স্থানীয় বিভিন্ন সড়কের পাশে বসবাস করছে। এ সব পরিবারের কোনো জায়গা-জমি না থাকায় কেউ মারা গেলে তাদের দাফনে বিপাকে পড়তে হয়। একই সঙ্গে মসজিদ না থাকায় নামাজ আদায়েও সমস্যা হতো তাদের। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের পর আইজিপির নজরে আসে। পরে তার নির্দেশনায় ও নিজস্ব অর্থায়নে কবরস্থানসহ মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে, এরকম উন্নত দেশে মানুষের মৃত্যু হবে, আর তার কবরের জায়গা নেই- এমন সংবাদে স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় ভূমিহীন মানুষের জন্য এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশের আয়োজনে সদর উপজেলার চরমনসা এলাকায় এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা। উপস্থিত ছিলেন, চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান প্রমুখ।