ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

২ শিক্ষক নিয়ে চলছে পীতাম্বরবশী প্রাথমিক বিদ্যালয়

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ৫ অক্টোবর ২০২১  
২ শিক্ষক নিয়ে চলছে পীতাম্বরবশী প্রাথমিক বিদ্যালয়

শিক্ষক সংকট চলছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পীতাম্বরবশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।  এ বিদ্যালয়ে মাত্র দুইজন শিক্ষক দিয়ে চলছে ২৩০ শিক্ষার্থীর পাঠদান।  এ অবস্থায় বিদ্যালয়টির মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। গত ১২ বছর ধরে এমন শিক্ষক সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি। 

মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে পীতাম্বরবশী  বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা যে যার মতো খেলাধুলা করছে।  প্রধান শিক্ষক অফিস কক্ষে দাপ্তরিক কাজ করছেন। আর একজন সহকারী শিক্ষক পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন।  বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও কাগজে-কলমে চারজন শিক্ষক রয়েছে। এর মধ্যে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন মাত্র দুইজন শিক্ষক। দুইজন শিক্ষকের মধ্যে একজন আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, চারজন শিক্ষকের মধ্যে একজন কোহিনুর খাতুন।  বর্তমানে তিনি পিটিআই প্রশিক্ষণে আছেন।  অপরজন মাহজুবা উম্মে ফেরদৌস প্রায় চার বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।  তিনি কোথায় এবং কিভাবে আছেন সে বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছুই জানাতে পারেনি।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, ‘এক যুগ ধরে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই বিদ্যালয়ের কাজ চলছে।  বিদ্যালয়ে সাতটি শিক্ষকের পদ আছে। এর মধ্যে কাগজে-কলমে আছেন চারজন। কিন্তু কর্মরত আছি আমরা দুইজন শিক্ষক। আমাকে অধিকাংশ সময় অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়।  তখন মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে স্কুল চলে। শিক্ষক সংকটে আমাদের নাকাল অবস্থা। আমরা এ থেকে রেহাই চাই।’

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্মিতা মজুমদার বলেন, ‘২৩০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র দুই জন শিক্ষক আছেন।  বিদ্যালয়ে  দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তখন আমি একাই স্কুল চালাই। একজনের পক্ষে এত বড় স্কুল চালানো কোনোভাবেই সম্ভব না।  এতে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ‘

কুমারখালী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পীতাম্বরবশী সরকারি বিদ্যালয়ের মাহজুবা নামের এক সহকারী শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসেন না।  তিনি কোনো ছুটিও নেননি। এর আগে তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল।  কিন্তু তিনি তার কোনো জবাব দেননি। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন তা জানার জন্য আবারো তাকে শোকজ করা হবে।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ক্লাস্টার এটিওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়