টুনটুনিকে দেখতে এলেন ইউএনও, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
গাজীপুর শ্রীপুরের হায়াতখারচালা গ্রামে সেই খর্বাকৃতির ছোট বাছুর টুনটুনিকে দেখতে কৃষকের বাড়িতে গিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান পলাশ।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) তারা কৃষক আবুল কাশেমের বাড়িতে যান।
পরিদর্শন শেষে ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাছুরটির খবর শুনে দেখতে এলাম। এটি গবেষণার দাবি রাখে। এর স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে কম ওজন হওয়ার পেছনে কারণ জানা যাবে গবেষণা হলে। এ বিষয়ে সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান পলাশ বলেন, ‘সরেজমিন দেখে মনে হচ্ছে, এটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখাতে পারবে। দেশি বাছুর হিসাবে এর উচ্চতা, ওজন অনেক কম। সম্প্রতি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়া রানির মতো এই খর্বাকৃতির বাছুরটি মর্যাদা পেতে পারে।’
উল্লেখ্য, শ্রীপুরের গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াতখারচালা গ্রামে কৃষক মো. আবুল কাশেমের গাভী একটি খর্বাকৃতির বকনা বাছুরের জন্ম দিয়েছে। এটির বয়স ১৪ মাস। কিন্তু এর ওজন মাত্র ২২ কেজি। উচ্চতা ২১ ইঞ্চি। টুনটুনি পাখির মতো চঞ্চল বলে এটিকে সবাই টুনটুনি বলেই ডাকেন। জন্মের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাছুরটি সুস্থ আছে।
দেশি জাতের এই বাছুরটির উচ্চতা, বয়স ও ওজন বিবেচনায় এটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে পারে বলে এলাকাবাসীর মাঝে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রানীর পর মিলেছে টুনটুনির খোঁজ
রেজাউল/বুলাকী
আরো পড়ুন