ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শৌচাগারের ট্যাংকিতে মিলল তিন সন্তানের জননীর গলাকাটা লাশ

ফরিদপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ৮ অক্টোবর ২০২১  
শৌচাগারের ট্যাংকিতে মিলল তিন সন্তানের জননীর গলাকাটা লাশ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সদরের ৬নং ওয়ার্ডের আঁধারকোঠায় শৌচাগারের ট্যাংকিতে তিন সন্তানের এক জননীর গলাকাটা লাশ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহতের নাম নিলুফা আক্তার (৪২)। সে মৃত আবুল খায়েরের স্ত্রী। তার এক মেয়ে ও দুই ছেলে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে পাশের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে। দুই ছেলে ইমরান (২৩) ও অন্তর (২০) জাহাজে চাকরি করে।

নিহত নিলুফা আক্তারের মেয়ে প্রিয়াংকা (২৪) জানান, তার সাথে তার মায়ের সর্বশেষ কথা হয় বৃহস্পতিবার সকালে। পরে দুপুরের দিকে ফোন দিলে আর তাকে পাওয়া যায়নি। ফোনে না পেয়ে সে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ফোন দেয়। ব্যাংকে যাওয়ার কথা ছিল সেখানেও বিকেলে লোক পাঠায়। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায় না। তখন চতুল ইউনিয়নের ধুলপুকুরিয়া থেকে নিহতের ছোট বোন কবিতা লোকজন নিয়ে আঁধারকোঠার বাড়িতে যায়।

তিনি আরও জানান, গেট খুলে ভিতরে গিয়ে ঘরের দরজা জানালা খোলা দেখতে পায়। খাটের উপর কাপড়, ব্যাগ পড়ে আছে কিন্তু নিলুফা আক্তারকে কোথাও দেখা যায় না। ঘরের বিভিন্ন যায়গা রক্ত দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে মাটিতে মরদেহ টেনে নেওয়ার দাগ দেখে শৌচাগারের ট্যাংটির মধ্যে পা দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে রাত সাড়ে আটটার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রিয়াংকা বলেন, তার মায়ের শরীরে যে গহনা ছিল শুধু সেগুলো খোয়া গেছে। ভিতরে আলমারিতে, ড্রয়ারে থাকা টাকা পয়সা ও গহনা ঠিক আছে। আর তার মায়ের ব্যবহৃত মোবাইলটা পাওয়া যাচ্ছে না।

নিহত নিলুফা আক্তারের মামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, কি কারণে কারা এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটাল তা বুঝতে পারছি না। তবে বৃহস্পতিবার ব্যাংক থেকে বড় অংকের একটা টাকা তোলার কথা ছিল যদিও শেষ পর্যন্ত টাকা তুলে নাই। এই টাকার জন্যও হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষ হলে সন্তানরা কেউ বাদী হয়ে মামলা করবে।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ নুরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ও জড়িতদের ধরার ব্যাপারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। অভিযোগ পেলেই মামলা হবে।

উজ্জ্বল/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়