পঞ্চগড়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ, হাসপাতালে শয্যা সংকট
পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পঞ্চগড়ে গত একমাস যাবৎ বেড়ে চলছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিদিনিই শহরের আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।
পঞ্চগড়ে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা এখন দ্বিগুনেরও বেশি। এ অবস্থায় রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এ ছাড়া হাসপাতালে শয্যা কম থাকায় রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালে বর্তমান শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি।
শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মেঝে ও বারান্দায় অসুস্থ শিশুকে নিয়ে বসে আছেন মায়েরা। শয্যা সংকটের কারণে এভাবেই তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ। কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই বাড়ি ফিরছেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা গেছে, ১০০ শয্যার বিপরীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হওয়া ৬৫ জনসহ মোট রোগীর সংখ্যা এখন ২২০ জন। নতুন ৬৫ জনের মধ্যে ২১ জনই শিশু রোগী। এছাড়া জ্বর, সর্দি ও ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন রোগের ১৫ জন পুরুষ ও ২৯ জন মহিলা রোগী ভর্তি আছেন হাসপাতালে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গরম থেকে শীতের দিকে যাচ্ছে এজন্য শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও চিকিৎসায় অবহেলা হচ্ছেনা।
মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা সাজেদা আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়ে ঠান্ডাজনিত জর-সর্দিতে আক্রান্ত। তাই তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। চারদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। আগের চেয়ে অনেক ভাল এখন।’
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ও জুনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনই শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যাদের সমস্যা বেশি তাদের হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শসহ ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) সিরাজ উদ্দৌলা পলিন বলেন, ‘হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদেরও চাপ বেড়েছে। ভর্তি রোগীর বাইরেও প্রতিদিন শিশু ও বয়স্কসহ ৫ থেকে ৬০০ জন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে শিগগিরই শয্যা সংকট কেটে যাবে। আমাদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে আর সংকট থাকবেনা।’
নাঈম/মাসুদ
আরো পড়ুন