‘কারো জন্য প্রত্যাবাসন থেমে থাকবে না’
কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, 'কারো জন্য প্রত্যাবাসন থেমে থাকবে না। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলমান আছে।'
শনিবার (৯ অক্টোবর) কক্সবাজার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, 'রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এবং এখানে রোহিঙ্গা কিশোর যুবক যারা আছে তাদেরকে মিয়ানমারের ভাষায় শিক্ষাদীক্ষা ও কারিগরি শিক্ষার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তারা যাতে মিয়ানমার ফিরে গিয়ে কারগরি শিক্ষা কাজে লাগিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, 'মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড একটি দুঃখজনক ব্যাপার। আমি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়ে খুব কষ্টে দিন যাপন করছে। তারা ছাড়াও অন্যান্য রোহিঙ্গারা যারা রয়েছে তারা মর্মাহত। মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীরা আস্তে আস্তে আইনের আওতায় আসছে। ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
মুহিবুল্লাহ হত্যার পর এবারই প্রথম রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল।
আরো পড়ুন: সন্ত্রাসীর গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ নিহত
এর আগে গত শুক্রবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বিমানযোগে কক্সবাজারে পৌঁছান তারা। প্রতিনিধি দলে আছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, পশ্চিম ইউরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মহাপরিচালক ফায়াজ মুর্শিদ কাজি, পররাষ্ট্র সচিবের দপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলীমুজ্জামান ও সহকারী সচিব শোয়াইব-উল ইসলাম তরফদার ।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থানকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ।
আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে ৫
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উখিয়া থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা হয়। মামলায় বাদী হন নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৬ থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে মোহম্মদ সেলিম (৩৩) (প্রকাশ লম্বা সেলিম) নামে একজনকে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) সদস্যরা গ্রেপ্তার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে।
শনিবার (২ অক্টোবর) ভোররাতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালাম নামের আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে ১৪ এপিবিএন।
ওইদিন বিকেলে উখিয়া থানা পুলিশ শওকত উল্লাহ (২৩) কে কুতুপালং ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করে।
তারেকুর/মাসুদ
আরো পড়ুন