ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

টিকিটের ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ, রেল কর্মচারী কারাগারে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১০, ৯ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ২০:১৩, ৯ অক্টোবর ২০২১
টিকিটের ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ, রেল কর্মচারী কারাগারে

বুকিং সহকারী মিশুক আল মামুন

লালমনিরহাট রেলওয়ের টিকিট বিক্রির প্রায় ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বুকিং সহকারী মিশুক আল মামুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগের ম্যানেজার শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাব আল রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

লালমনিরহাটের কাউনিয়া স্টেশনের বুকিং সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন কুড়িগ্রামের চর বজরা গ্রামের মনছুর কাদেরের ছেলে মিশুক আল মামুন। গত ১০ আগস্ট থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত রেলওয়ের আয়ের ৩৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা জমা দেননি তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে কর্তৃপক্ষ তাকে তাৎক্ষণিক ডেকে টাকা ফেরতের জন্য তাগিদ দেয়। মামুন টাকা ফেরতের সময় নিয়ে মুচলেকা দেয়। নির্ধারিত সময়সীমার পর টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় গত সোমবার (৪ অক্টোবর) জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সহির উদ্দিন অভিযোগ দায়ের করেন। 

ওই দিন মামুনকে পুলিশে সোপর্দ করে রেলওয়ের কর্মকর্তারা। পরদিন মঙ্গলবার (৫ অক্টোর) পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

লালমনিরহাট বিভাগের ম্যানেজার শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাব আল রশিদের গাফলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হওয়ায় তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় মামলা হবে। 

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী জাকির হোসেন জানান, যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি ও মালামাল পরিবহনের ভাড়া বাবদ আদায় করা টাকা নির্দিষ্ট ব্যাগে ভরে সিলগালা করে রেলওয়ের নির্দিষ্ট ট্রেনে পশ্চিমাঞ্চল জোনের পে এন্ড ক্যাশ অফিসে পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু মিশুক আল মামুন এসবের কিছুই করেননি।

লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহারুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ের অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামুনকে আটকের পর ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে দুদকে মামলা হস্তান্তরের আবেদন করা হয়েছে। এখন মামলাটি দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) তদন্ত করবে।   

ফারুক/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়