ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে ৫৬ মাদার ভ্যাসেল পণ্য খালাসের অপেক্ষায়

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৮, ১৩ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৫:১৭, ১৩ অক্টোবর ২০২১
চট্টগ্রাম বন্দরে ৫৬ মাদার ভ্যাসেল পণ্য খালাসের অপেক্ষায়

চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজের সংকটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাস বিলম্বিত হচ্ছে। সময়মতো লাইটার জাহাজ বরাদ্দ না পাওয়ায় বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে অর্ধ শতাধিক লাইটার জাহাজ পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। 

চট্টগ্রাম লাইটার জাহাজ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ডব্লিউটিসি এবং বন্দর ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে বন্দর কেন্দ্রীক এক হাজারেরও বেশি লাইটার জাহাজ থাকলেও কেনো সংকট রহস্যজনক বলে অনেক আমদানিকারক মত প্রকাশ করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রীয় পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত লাইটার জাহাজের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ডব্লিউটিসির প্রধান নির্বাহী মাহবুব রশিদ জানান, সংকটের কারণে মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাসের জন্য চাহিদা অনুযায়ী লাইটার জাহাজ বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না। এক একটি মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারকরা ৫ থেকে ৭টি পর্যন্ত লাইটার জাহাজ বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু এর বিপরীতে একটি বা দুটি জাহাজের বেশি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

দৈনিক গড়ে একশ থেকে দেড়শ জাহাজ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে উল্লেখ করে মাহবুব রশিদ জানান, চাহিদা এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। অনেক লাইটার জাহাজের পণ্য সময়মতো আনলোড না হওয়ায় এবং দেশের বিভিন্নস্থানে পণ্য নিয়ে অসংখ্য লাইটার জাহাজ চলমান এবং গন্তব্যে অপেক্ষমান থাকায় লাইটার জাহাজের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লাইটার জাহাজের সংকট রয়েছে। ফলে রেশনিং করে লাইটার জাহাজ বরাদ্দ দিতে হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম রাইজিংবিডিকে জানান, বুধবার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে ৫৬টি মাদার ভ্যাসেল পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। এসব জাহাজে ইস্পাত, বিভিন্ন বড় শিল্পের কাঁচামাল, সিমেন্ট ক্লিংকারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। মূলত লাইটার জাহাজের মাধ্যমেই মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাস করা হয় বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়। 

এদিকে, একাধিক আমদানিকারক জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত একদিন এক একটি মাদারভ্যাসেল অপেক্ষমান থাকলে দৈনিক ৩৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। সময়মতো লাইটার জাহাজ বরাদ্দ না পেয়ে অনেক আমদানিকারক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অনেক আমদানিকারকের নিজস্ব লাইটার জাহাজ থাকলেও সেগুলোও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের সিরিয়ালের আওতায় নিয়ে যাওয়ায় তারা নিজেদের লাইটার জাহাজও কাজে লাগাতে পারছেন না।

চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়