ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

তদন্ত কমিটিকে এড়াচ্ছেন বিতর্কিত সেই শিক্ষক

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ১৩ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৭:৩৬, ১৩ অক্টোবর ২০২১
তদন্ত কমিটিকে এড়াচ্ছেন বিতর্কিত সেই শিক্ষক

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে আগামী ২১ অক্টোবর দুপুরে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে সময় দেওয়া হয়েছে।  দুই দফায় হাজির না হয়ে তদন্ত কমিটির কাছে অতিরিক্ত সময় প্রার্থণা করলে তাকে এই সুযোগ দেওয়া হল।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৪ টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ও তদন্ত কমিটির সভাপতি লায়লা ফেরদৌস হিমেল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে রবি’র আন্দোলন শিথিল

এর আগে, গত ৩ অক্টোবর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

রোববার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার কক্ষে এই সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলে। সেদিন দুপুর ১২টায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন উপস্থিত না হয়ে ১৪ দিনের সময় প্রার্থনা করেন। এর প্রেক্ষিতে তাকে ৩ দিনের সময় দেন কমিটি। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি কমিটির সামনে উপস্থিত হননি। বরং ওই দিন বিকেলে এক ই-মেইল বার্তায় নিজের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো দুই সপ্তাহের জন্য সময় আবেদন করেন। 

আরো পড়ুন: ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়া সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ

তদন্ত কমিটির সভাপতি লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে দুই দফায় (৩ ও ৭ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় তদন্ত কমিটির সামনে এসে তার বক্তব্য উপস্থাপন করার সময় দেওয়া হলেও তিনি আসেননি। বরং তিনি মানসিক ও শারীরিক
অসুস্থতার কথা জানিয়ে উপস্থিত না হয়ে মেইলে আরও ১৪ দিনের সময় দরকার বলে জানিয়েছিলেন। তিনি এই মেইলটিই বার বার পাঠিয়ে সময়ের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি তাকে দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন: 

তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ব্যাপারে লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, অনেক বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। ২১ অক্টোবর অভিযুক্ত শিক্ষক উপস্থিত না হয়ে সময়ের জন্য আবেদন করলে কি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন করে সময় দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষকের বক্তব্য শুনে তারপরই সবকিছু মিলিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। সময় অনুযায়ী উপস্থিত না হলে  তদন্ত কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াসমিন বাতেনকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার  ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন
রিসিভ করেননি।

অদিত্য/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়