ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের এপিএস দুই দিনের রিমান্ডে

ফরিদপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ১৩ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৯:১৫, ১৩ অক্টোবর ২০২১
সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের এপিএস দুই দিনের রিমান্ডে

সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ব‌্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) এ এইচ এম ফোয়াদকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ছোটন নামে একজন বাস শ্রমিক হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে তাকে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলী আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ সময় পুলিশ ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গফ্ফার হোসেন এতথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে ফোয়াদকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুরে নিয়ে যায় পুলিশ। 

এদিকে বুধবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা বলেন,  ফোয়াদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা মামলার আসামি। সবমিলিয়ে আটটি মামলার আসামি তিনি। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তার নামে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা আছে। দীর্ঘদিন ধরে ফোয়াদ আত্মগোপনে ছিলেন।

তিনি আরো বলেন,  ফোয়াদের নেতৃত্বে হাতুড়ি বাহিনী ও হেলমেট বাহিনী পরিচালিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৫ সালের ১৫ জুন ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে ছোটন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ফোয়াদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২১ মার্চ ফোয়াদ ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হন,  এর আগে তিনি জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায় ছিলেন। গত বছরের ২৩ আগষ্ট জেলা যুবলীগের ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রাবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। রুকসুর নির্বাচনে তিনি ছাত্রলীগের সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

গত বছরের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা হয়। ঘটনায় ১৮ মে সুবল চন্দ্র সাহা কোতয়ালী থানায় নাম না জানা ব‌্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় ৬ জুন রাতে শহর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পালিয়ে যান অনেকেই।

এরপর ২৬ জুন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী-২০১৫-এর ৪(২) ধারায় ঢাকার কাফরুল থানায় একটি মামলা করে সিআইডি। ৩ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। 

এতে বরকত ও রুবেল সহ ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এপিএস এএইচএম ফোয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভি, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাহিন, শহর যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মাদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম নাসিমকে অভিযুক্ত করা হয়।

উজ্জল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়