ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

একই আঙিনায় মসজিদ-মন্দির, সম্প্রীতির অনন‌্য নিদর্শন

সাইফুল্লাহ হাসান, মৌলভীবাজার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১০, ১৬ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৬:১১, ১৬ অক্টোবর ২০২১

শেষ হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ভূয়াই দুর্গামণ্ডপে পূজা উদযাপনের দৃশ্যটা ছিলো অন্যরকম। এখানে মুসলমানদের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজার জন্য মণ্ডপ একই আঙ্গিনায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। এ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন‌্য নিদর্শন।

মসজিদে ফজরের সময় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এরপর একই আঙিনায় সকাল থেকে মণ্ডপে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পূজা অর্চনা করেন। এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বহন করে বহু বছর চলছে উপজেলার ভূয়াই জামে মসজিদ ও ভূয়াই দুর্গামণ্ডপ। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজানের সময় থেকে নামাজের প্রথম জামায়াত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের মাইক, ঢাক-ঢোলসহ যাবতীয় শব্দ বন্ধ থাকে। নামাজের জামাত শেষ হলে মন্দিরের কার্যক্রম শুরু হয়। শৃঙ্খলা বজায় রেখে একই উঠানে দীর্ঘদিন ধর্মীয় রীতি-নীতি পালন করে আসছেন উভয় ধর্মের মানুষ। 

স্থানীয় মনিরুল ইসলাম নামে একজন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা ধর্মীয় সম্প্রতির অনন‌্য উদাহরণ। কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই অনেক বছর ধরে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করছেন এখানকার লোকজন। সত্যি এটি আমাদের জন্য অনেক বড় গর্বের বিষয়।’ 

ভূয়াই জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘নামাজের সময় মন্দিরের ঢাক-ঢোল বন্ধ রাখা হয়। একই আঙিনায় দুই ধর্মের প্রতিষ্ঠান থাকলেও কোনো ধরনের সমস‌্যা হয় না।’

স্থানীয় মোস্তাকিম আহমদ বাবুল বলেন, ‘এখানে কোনো ধরনের বিভেদ ও ঝামেলা ছাড়াই হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষেরা যার যার ধর্ম পালন করে। মসজিদ ও মন্দির কমিটি সমন্বয় করে কাজ করে।’

ভূয়াই শ্রী শ্রী পূজামণ্ডপের সভাপতি পিযুষ কান্তি দাস বলেন, ‘এখানে একটি টেবিলে নামাজের সময়সূচি রাখা আছে। নামাজের শুরু ও শেষ দেখে আমরা আমাদের পূজা উদযাপন করি। নামাজে যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য আমরা সর্বদা চেষ্টা করি। আমরা মিলেমিশে যার যার ধর্ম পালন করি।’ 

এই সম্প্রীতি অটুট রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন সংশ্লিষ্টরা। 

ঢাকা/ইভা/এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়