ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জয়পুরহাট হাসপাতালে শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে

জয়পুরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩০, ১৬ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১১:৩৩, ১৬ অক্টোবর ২০২১
জয়পুরহাট হাসপাতালে শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে

হঠাৎ করেই শিশু রোগীর চাপ বেড়ে গেছে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা  হাসপাতালে। জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে গড়ে প্রতিদিন ভর্তি থাকছে একশ শিশু। যাদের অধিকাংশই টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত।

গত ১৫ দিন ধরে  টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় এক হাজার শিশুকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালের ২২ বেডের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পানি ও খাবারে সমস্যার কারণেই পানিবাহিত এ রোগের প্রাদুর্ভাব দাবি শিশু বিশেষজ্ঞের।

অন্যদিকে, জেলার উপজেলা হাসপাতাল, বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু রোগী নিয়ে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে আসছেন তাদের স্বজনরা। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ওইসব শিশুদের জায়গা না হওয়ায় মেঝেতে ও বারান্দায় গাদাগাদি করে থেকে তাদের চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে এর প্রকোপ বাড়তে থাকে। প্রায় প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। পানি ও খাবারে সমস্যার কারণেই পানি বাহিত এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। হাসপাতালে ভর্তির পর টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা ৭-৮ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা সুস্থ হাসপাতাল ছাড়ছেন।

হাসপাতালেন চিকিৎসা নিতে আসা জয়পুরহাট সদর উপজেলার সগুনা গ্রামের  ৯  বছরের শিশু শাহানা ও পাঁচবিবি উপজেলার জীবনপুরের সাদ্দামের অভিভাবকরা জানান, টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত সাতদিন থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। তাদের এলাকার প্রায় শিশুরা টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। ইদানিং প্রায় শিশুদের এই অসুখ হচ্ছে। কেউ হাসপাতালে আসে, আবার অনেকে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ জ্বর অনেকদিন ধরে ভোগায়।

জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জানান, এই টাইফয়েড রোগ মুখের মাধ্যমে খাবার ও পানির  সঙ্গে ছড়ায়। এই প্রাদুর্ভাবটা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। পানি ও খাবারে সমস্যার কারণেই পানিবাহিত এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের মাত্রাটা বেশ বেশি। গত দুই সপ্তাহে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় এক হাজার শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কয়েকদিনের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতা অবলম্বন করে চলাফেরা করতে হবে।

শামীম/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়