ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

যশোর শিক্ষাবোর্ডে জালিয়াতি: চেয়ারম‌্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৮, ১৮ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ০৮:১৪, ১৯ অক্টোবর ২০২১
যশোর শিক্ষাবোর্ডে জালিয়াতি: চেয়ারম‌্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: ইন্টারনেট

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে চেক জালিয়াতি করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান, সচিবসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই মামলা করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, প্রতারক প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং অ‌্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটী জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের মালিক মৃত সিদ্দিক আলী বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুল আলম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হারুণ অর রশিদকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধনী ও ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রস্তুত কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মানী বাবদ ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকার বিপরীতে আড়াই হাজার টাকা আয়কর কর্তন করা হয়। ২০২০ সালের ৭ আগস্ট আড়াই হাজার টাকা আয়করের চেক বই প্রস্তুত করা হয়।

হিসাব সহকারী আবদুস সালাম চেকের মুড়িবইয়ে আড়াই হাজার টাকা লিখলেও চেকে প্রাপক হিসেবে ভেনাস প্রিন্টিং অ‌্যান্ড প্যাকেজিং লিখে ২৫ লাখ ৮০ হাজার ১০ টাকা ইস্যু করা হয়। চেকে সচিব ও চেয়ারম্যান স্বাক্ষর নেওয়া হয়। সেই চেক শরিফুল ইসলাম বাবু তার নিজস্ব অ্যাকাউন্ট ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখায় জমা দিয়ে পরস্পর যোগসাজশে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। এভাবে আয়কর বাবদ ১০ হাজার ৫৩৬ টাকার স্থলে ৯টি চেকের মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা আত্মসাৎ করে আসামিরা। যা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অপরাধ।

যশোর শিক্ষাবোর্ডের অডিট অফিসার আবদুস সালাম জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরের বিভিন্ন মালামাল ক্রয় বাবদ সরকারের ভ্যাটের ১০ হাজার ৩৬ টাকার ৯টি চেক ইস্যু করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যশোরের ভেনাস প্রিন্টিং অ‌্যান্ড প্যাকেজিং ৭টি ও শাহীলাল স্টোর নামে দুটি চেকের মাধ্যমে বোর্ডের ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আমরা চেকের মুড়ি বইয়ের সঙ্গে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট মেলানোর সময় এই জালিয়াতি ধরা পড়ে। অথচ মুড়ি বইয়ের চেকের অংকের সঙ্গে ইস্যুকৃত চেকের অংকের মিল নেই।

সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবোর্ড শাখার ব্যবস্থাপক এসএম শাহিদুর রেজা জানান, ভেনার্স প্রিন্টিং অ‌্যান্ড প্যাকেজিং ঢাকার ফকিরাপুল ঠিকানার চেক ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার ক্লিয়ারিং চেকের মাধ্যমে এসব টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত জানান, আমরা সোমবার ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছি। সরকারের টাকা আত্মসাত করে কেউ পার পাবে না। 

রিটন/এনএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়