ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সোনালী ফসল উঠছে জুমিয়াদের ঘরে

রাঙামাটি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫১, ২১ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৩:৫৮, ২১ অক্টোবর ২০২১
সোনালী ফসল উঠছে জুমিয়াদের ঘরে

জুমের ফসল তোলায় ব্যস্ত পাহাড়ি জুমিয়ারা। কিছু ফসল সারা বছর ধরে উত্তোলন হলেও জুম তোলার এখনই মৌসুম। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হওয়ার লাভের আশা করছেন চাষিরা।

এ বছর রাঙামাটিসহ পার্বত্য তিন জেলায় জুমে ধানসহ নানা ধরনের শাক সবজি চাষ হয়।  জুমে বীজ বপনের পরে সারা বছর পরিশ্রম করেন জুমিয়ারা নারী-পুরুষ।  এখন ফসল ঘরে তুলতে পেরে আনন্দিত তারা।

রাঙামাটি সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জুম চাষীরা জানান, পাঁচ থেকে ছয় মাস কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এরপরই  জুমিয়ারা ধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির ফলন পান।  এখন কষ্টে উৎপাদিত সবজি ও ফলমুল ঘরে উঠাতে পেরে আনন্দিত তারা। 

রাঙামাটির  কাপ্তাই আসামবস্তী সড়কের বরাদম এলাকার জুমচাষী নয়ন চাকমা বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জুমের ফসল ভালো উৎপাদন হয়েছে।  জুমের ফসল দিয়ে আমার পরিবারের আগামী ৮ থেকে ৯ মাস খাবারের ব্যবস্থা হবে।  এছাড়াও আমরা বেগুন, হলুদ, আদা, ধানি মরিচ, ঢেড়ঁশ, কাকরোল, কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি রোপন করেছি।  এর থেকেও জীবিকা নির্বাহ হবে।

রাঙামাটি সদরের মগবান এলাকার সুমনা চাকমা বলেন, বর্তমানে পাহাড়ে জুমের ধান কাটার উৎসব চলছে।  জুমে এখন বিভিন্ন ধরনের ধানের চাষ করা হয়।  প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষের দিকে শুরু হয় জুমে ধান লাগানোর প্রক্রিয়া। প্রায় ৩-৪ মাস পরির্চযার পর সেপ্টেম্বর-আক্টোবর  মাসের দিকে পাহাড়ে জুমের ধান কাটা শুরু হয়।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক আপ্রু মারমা বলেন, জুমের ক্ষেতে শুধুমাত্র ধান চাষ হয়না।  এখানে ধানের পাশাপাশি আদা, হলুদ, মারফা, বেগুন, তিলসহ বিভিন্ন শাকসবজির ফলন অনেক বেশি হচ্ছে। আমরা দেখছি পাহাড়ে আগের জুমের ফলনের চেয়ে এখন ফলন বেশি হচ্ছে।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, পাহাড়ে জুম হচ্ছে প্রধান ফসল। আউশ মৌসুমে আমাদের লক্ষমাত্রা ছিল ৫হাজার ৫৭০ হেক্টর। ইতিমধ্যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন হয়েছে।  এ বছর আমাদের টার্গেট ছিল হেক্টরে প্রতি ১.৩ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন। কিন্তু এবারের মৌসুম খুবই সময় উপযোগী হওয়ার ফলে ফলনটা আরো একটু বাড়বে।  

তিনি বলেন, এখানে জুমের ক্ষেতে তুর্কি, বিনিসহ বিভিন্ন ধরনের ধান আছে । এলাকার কৃষকদের কাছে এ জাতের ধানগুলো খুবই জনপ্রিয় জাত।  রাঙামাটিতে বর্তমানে ৫০ ভাগ ধান কাট শেষ হয়েছে। 
 

বিজয়/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়