এক রাতে ৪ গরু চুরি, ওসি বললেন ‘চুরি-ডাকাতি কোন জায়গায় হচ্ছে না’

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের হালগরা এলাকা থেকে এক রাতে তিন পরিবারের চারটি গরু চুরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চুরি হওয়া গরুর মধ্যে গফুর মিয়ার ২টি, মারুফ আহমেদের ১টি ও নুনই মিয়ার ১টি।

চুরি হওয়া গরুর মালিক গফুর মিয়া বলেন, রাত দশটার দিকে গোয়াল ঘর লঙ্গর ও তালা দিয়ে বেধে ঘুমাতে যাই। সকালে উঠে দেখি গোয়াল ঘর খোলা এবং লঙ্গর কাটা। আমার গরু নাই। একই রকম ঘটনা ঘটে পাশের বাড়ির মারুফ আহমেদের ক্ষেত্রে । উনারও একটি গাভী চুরি হয়।

এলাকাবাসী জানান, চোরদের উপদ্রব হঠাৎ বেড়েছে। চোরেরা কৌশলে গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে লঙ্গর কেটে গরু নিয়ে পালিয়ে যায়।

চুরি হওয়া গরুর মালিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গরু চোরদের উপদ্রব বেড়েছে। আমরা ঘরে তালা দিয়েও গরু রক্ষা করতে পারছি না। চুরি হওয়ার কারণে অনেকেই গরু-মহিষ পালন বাদ দিয়েছে। বিষয়টি আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশকে অবগত করেছি।

চুরির বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করে গোয়ালবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমেদ লেমন বলেন, খবর পেয়ে সকালে আমি তাদের বাড়িতে গিয়েছি এবং বলেছি থানায় অভিযোগ করতে। যাদের যাদের সন্দেহ হয় তাদের নাম বলতে।

তিনি আরও বলেন, আগেও আমরা অনেক চোর ধরে থানায় দিয়েছি। থানা পুলিশও চোরদের ধরেছে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় তারা জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় গরু চুরি করে।

জুরী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, আমাদের কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। আমরা তৎপর রয়েছি। অনেকদিন পর চুরি হয়েছে। একটা গরু চুরি হইলে যদি এতো হুলুস্থুল শুরু হয়ে যায়। চুরি-ডাকাতি কোন জায়গায় হচ্ছে না?

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাউসার দস্তগীর বলেন, গত কয়েক মাসে ২৬ জন চোরকে ধরে আমরা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।