ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

তিস্তার পানি কমলেও এক দিনেই ব্যাপক ক্ষতি

ফারুক আলম,লালমনিরহাট || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২২ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ২১:২০, ২২ অক্টোবর ২০২১

গত বুধবার (২০ অক্টোবর) হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যায়। একপর্যায়ে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যায়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রেড অ্যালার্ট জারি করে। তবে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টােবর) সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি হওয়ায় তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাস সড়কের একাংশ ভেঙে গেছে। এতে তিস্তা নদীর পানি হাতীবান্ধা শহরসহ লোকালয়ে প্রবেশ করে।প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়।

ব্যারাজেন ভাটী অঞ্চলে তীব্র পানির চাপে রাস্তা-ঘাট,বাড়ি ঘর ভেঙে যায়।দিশেহারা হন স্থানীয়রা।ঘটনার আকস্মিকতা ছিল চরম ভয়াবহ।

পানি কমে যাওয়ার পর দেখা যায়, আগাম ভুট্টা,পাকা-আধপাকা ধান, চরের মসলা জাতীয় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।নিচু সড়কগুলো ভেঙে গেছে।কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙে তীব্র স্রোত গেছে।রংপুর-কাকিনা আঞ্চলিক সড়কসহ অনেকে সড়ক ভেঙে গেছে।সেগুলো এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।।অনেক বাড়িঘর হয় পরিত্যক্ত।

দিনমজুর আলম মিয়ার বসতভিটা ভেসে গেছে পানিেত।তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার পাশে থাকা শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনটা ঘর ভেসে গেছে আলমের।চোখের সামনে সব শেষ।সবাই দেখে যাচ্ছে, জানিনা কবে কী হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন, তিস্তার বাঁধ দিয়ে আমাদের স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করে দিন।

জহিরন নেছা বলেন,দিনে এক বেলা খেয়ে আছি।ঘরে কোনো খাবার নেই।রান্নার চাল নেই।

আকলিমা বলেন, আমার ঘরের দরজা,জানালা,হাড়িপাতিল,খাবার দাবার সবকিছু ভেসে গেছে।রান্না করে খাবার ব্যবস্থাও নাই।

৭০ বছরের হায়দার আলী বলেন, জহরের ওয়াক্তে পানি আসতে থাকে।রাত ১২টা ঘর তলিয়ে যায়।

ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কায় মহাদুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। তবে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে তাৎক্ষণিক জরুরি ত্রাণ ও নৌকার ব্যবস্থা করা হয়। জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানিয়েছেন, তার দপ্তর থেকে ১৭০ মেট্রিকটন জিআর চাল ও ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই বরাদ্দ প্রয়োজনে আরও বাড়তে পারে।

/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়