ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মোড়লগঞ্জ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ২৭ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৫:৩৬, ২৭ অক্টোবর ২০২১
মোড়লগঞ্জ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি‘র বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যু ও স্থানীয়দের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। 

এসব অন্যায়ের বিচারের দাবিতে এমকে রতন নামের এক ব্যবসায়ী বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। 

লিখিত বক্তব্যে এমকে রতন বলেন, মোড়লগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পথ্য, স্টেশনারি ও ধোলাই সরবরাহের জন্য সব শর্ত মেনে আমি দরপত্র দাখিল করি। কিন্তু দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকা স্বত্তেও আমাকে কাজ না দিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত মেসার্স আরিয়া ট্রেডার্সকে কাজ দিয়েছেন  ডা. কামাল হোসেন মুফতি। এই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেখানে এই নামে কোন প্রতিষ্ঠান নেই। এছাড়া দরপত্রের ১৮ নম্বর শর্তে উল্লেখ ছিল সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া যাবে না। ডা. কামাল হোসেন মুফতি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য কাল্পনিক ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়েছেন। 

ধোলাই ও পথ্য দুটি কাজ ডা. কামাল হোসেন মুফতি তার নিজস্ব লোক গাবতলা কমিনিউটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. ফারুক হোসেনকে দিয়ে পরিচালনা করেন। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে এমএসআর ক্রয়ের দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে এবং পেশাদার সরবরাহকারীদের বঞ্চিত করে মোরেলগঞ্জ উপজেলার নুরুজ্জামান মেডিসিন হাউজকে কাজ দেন ওই চিকিৎসক। এই ক্ষেত্রেও নুরুজ্জামান মেডিসিন হাউজের শুধু নাম ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত সব পণ্য সরবরাহ করেছেন  ডা. কামাল হোসেন মুফতির অনিয়মের সহযোগী কমিনিউটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. ফারুক হোসেন। এসব কাজের বিলও উত্তোলন করেছেন সিএইচসিপি মো. ফারুক হোসেন। বেশিরভাগ বিলের পিছনে ফারুক হোসেনের স্বাক্ষর রয়েছে। 

শুধু এই দুটি দরপত্রে নয়, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেশিরভাগ কাজে নানা রকম অনিয়ম করে থাকেন ডা. কামাল হোসেন মুফতি।

তিনি আরও বলেন, ডা. কামাল হোসেন মুফতি মেডিক্যাল অফিসার থেকে শুরু করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে প্রায় ১৭ বছর ধরে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছেন। তিনি তার জন্য বরাদ্দকৃত ডরমেটরি ভাড়া দিয়ে সরকারি কোয়ার্টারে থাকেন। এর ফলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর কারণে ফৌজদারী মামলা হয়েছে। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনও তদন্ত শুরু করেছে। 

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকতে পারে। এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্তের অভিযোগের সত্যতা পেলে, যা হয় হবে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্ধিন আহমেদ বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

টুটুল/মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়