ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কালভার্ট যেন মরণফাঁদ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৯, ২৮ অক্টোবর ২০২১  
কালভার্ট যেন মরণফাঁদ

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম-পান্টি সড়কে কালভার্টটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রায় দশ মাস পার হলেও এখনো সংস্কার করা হয়নি। রাস্তায় যাতায়াতকারী যানবাহন ও এলাকাবাসীর জন্য এটি যেন একটি মরণফাঁদ।

স্থানীয় বাসিন্দা আলম মালিথা ও রাকিবুল হাসান বলেন, এ সড়ক দিয়ে উপজেলার চাঁদপুর, বাগুলাট ও পান্টি ইউনিয়নের লাখো মানুষ চলাচল করে। এছাড়া ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার একাংশের মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। গ্রামীণ সড়ক হলেও বেশ ব্যস্ততম। কালভার্টটি ভেঙে ফেলার কারণে সড়কে ছোট পুকুরের মতো গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

চলাচল স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে জরাজীর্ণ ড্রাইভেশন সড়ক। আর সেই সড়কেই মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ সড়কের ২ হাজার মিটার চেইনেজে (আদাবাড়িয়া ভাটা এলাকা) তিন মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন মিটার প্রস্থ বক্স কালভার্টের অনুমোদন দেয় এলজিইডি।  ৬০ দিন মেয়াদে এ কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ১৮ লাখ ১২ হাজার ১৯৫ টাকা। ই-টেন্ডারের মাধ্যমে এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া আড়ুয়াপাড়ার মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজ। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ কাজ হয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। সড়কের মাঝে একটি পুকুরের মতো গর্ত খনন করা হয়েছে। স্থানীয়রা খালের ওপর বাঁশের চরাট বানিয়ে দিয়েছে।  মানুষ ও ইজিবাইকগুলো চরাটের ওপর দিয়েই চলাচল করছে।

অটোচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, দশ মাসের বেশি সময় রাস্তায় পুকুরের মতো গর্ত করে রেখেছে। মেরামতের কোনো উদ‌্যোগ নেই। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ঘরের পেছনের এই ভাঙা কালভার্টটিতে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। গত দশ মাসে শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

আদাবাড়িয়া গ্রামের তুহিন ইসলাম বলেন, এখানে সব সময় দুর্ঘটনা হচ্ছে। এদিকে কারো নজর নেই। রাতে মানুষ গর্তে পরে আহত হচ্ছেন। এ পর্যন্ত দুজন মারা গেছেন। দ্রুত কালভার্টটি নির্মাণ হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার সাইদুর রহমান লালু বলেন, টেন্ডার নিয়ে কিছুটা কালক্ষেপণ হয়। কিন্তু বিকল্প রাস্তা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে পানি প্রবাহ সচল রাখার জন্য স্থানীয়রা রাস্তা কেটে বাঁশের চরাট দিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে বাগুলাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন খাঁন বলেন, কালভার্টটি নির্মাণের নামে পুকুর খনন করা হয়েছে। এখন ভোগান্তির শেষ নেই। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, নানা জটিলতায় কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ঠিকাদার দ্রুত কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরেছি। প্রকৌশলী অফিসকে ব্যবস্থা নিতে দেওয়া হয়েছে।

কাঞ্চন/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়