আ.লীগ নেতাকে হত্যার পর আড়াই লাখ টাকা লুটের অভিযোগ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার পর তার সঙ্গে থাকা আড়াই লাখ টাকা দুর্বৃত্তরা লুট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর)  দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে যায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে পুলিশ নিহতের বাড়ির সংলগ্ন মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের বারিয়াহাট গাছতলা নামক এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আবু ছায়েদ ভূঞা রিপন (৫০) উপজেলার মিরওয়ারিশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তিনি একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালুয়া চাঁদপুর গ্রামের ভূঞা বাড়ির মৃত রফিক ভূঞার ছেলে।

তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ এবং নিহতের পরিবার এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেননি। নিহতের স্বজনদের দাবি, নিহত রিপনের সঙ্গে সকলের সুসম্পর্ক ছিল।

নিহতের ছেলে ইমরান হোসেন জানান, ঢাকা নোয়খালী রুটের লাল সবুজ বাস পরিবহনের বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা বাস কাউন্টারের ম্যানেজার ছিলেন তার বাবা। প্রতিদিনের মতো বুধবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে যে কোনো এক সময় বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার লাল সবুজ বাস কাউন্টার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ফেরার পথে কে বা কারা তাকে কুপিয়ে, হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে বারিয়াহাট বাজার সংলগ্ন গাছতলা নামক স্থানে মরদেহ রেখে চলে যায়।

ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমার অসুস্থ কাকার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। তার চিকিৎসার আড়াই লাখ টাকা এ সময় বাবার সঙ্গে ছিল। ওই টাকা হত্যাকারীরা লুট করে নিয়ে গেছে।’

ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান পুলিশের  এই কর্মকর্তা।