স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর-গুলি চালানোর অভযোগ 

দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাবনার সুজানগরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, গুলিবর্ষণ ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। 

এ সময় হামলাকারীদের প্রতিহত করতে হিয়ে আহত হয়েছেন সাত জন। ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন।

শনিবার (০৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার কিছু সময় আগে উপজেলার সিন্দুরি বরুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার সাগরকান্দি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে লড়াই করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন চৌধুরী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৈয়ব আলী শেখ।

কয়েকদিন ধরেই উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। শনিবার সন্ধ্যার দিকে তৈয়ব আলী শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায় প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি মোটরসাইকেলে। হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আহত হন ৭ জন।

তৈয়ব আলী শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী শাহীন চৌধুরীর নির্দেশে তার সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছে। আমার নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত ৪টি মটোরসাইকেল তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার বসতবাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়ে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। আমি প্রাণ ভয়ে পালিয়েছিলাম। আশপাশোর লোকজন এসে এসে আগুন নিভিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘পরাজয় নিশ্চিত জেনে শাহীন চৌধুরী আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। একইদিন দুপুরেও উপজেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে হামলা চালিয়ে আমার দু’জন সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। আমি নিরাপত্তাহীনতনায় ভুগছি। প্রশাসনের কাছে দাবি, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করা হোক।’ এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেবেন বলেও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহীন চৌধুরী বলেন, ‘আমার নির্বাচনী প্রচার মিছিলের উপরে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। গুলিবর্ষন করেছে। এখন উল্টো আমার নামেই মিথ্যা বলছে। নির্বাচনে নিজের পক্ষে সমর্থন নেওয়ার জন্য তারা নিজেরাই এই কাজ করেছে। আমার বা আমার কোন নেতাকর্মীরা এই কাজ করেনি। আমরা নিজেদের মত করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। জামাত বিএনপির মদদে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। সাধারন মানুষ ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।’

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। অভিযোগের আলোকে তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোন প্রকারের সহিংসতা আইন শৃঙ্খলার অবনতি মেনে নেওয়া হবে না। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’