ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নৌকার বিরোধিতা করে অশ্লীল বক্তব্য ভাইরাল, শোকজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৭, ২০ নভেম্বর ২০২১  
নৌকার বিরোধিতা করে অশ্লীল বক্তব্য ভাইরাল, শোকজ

মো. শহিদুল ইসলাম

খুলনায় নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করতে গিয়ে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম অশ্লীল বক্তব্য দিয়েছেন। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় কারণ দর্শাতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে শোকজ করা হয়েছে। 

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি বলেন, ‘অডিও রেকর্ড শুনেছি। তাকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে জবাব দেবেন তিনি। দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় শীর্ষ নেতারা কঠোর। দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর নৌকার প্রতি আক্রোশ কমছে না আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলামের। সম্প্রতি তিনি দলীয় প্রতীক নৌকা, তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এফ এম অহিদুজ্জামান ও তার মাকে নিয়ে গালিগালাজ করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে আবেদন করেছেন। 

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে শোকজের এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী।  

তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এফ এম অহিদুজ্জামান বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও তাকে শোকজ করা হয়েছে। 

আত্মপক্ষ সমর্থন করে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নামে একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। যেটা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, আমার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্য এডিটিংয়ের মাধ্যমে ভুলভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে থাকেন। কিছুদিন আগে তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ ইয়াছিন আহমেদের মাতা ও নৌকা কে নিয়ে অশ্রাব্য বক্তব্যর মাধ্যমে হুমকি দেন। 

শেখ ইয়াসিন আহমেদ বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলাম। নৌকা প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলামের পক্ষে কাজ না করায় তিনি আমাকে ও নৌকাকে নিয়ে ৪/৫ মাস পূর্বে জনসম্মুখে একই কায়দায় গালিগালাজ করে। আমি বিষয়টি নেতাদের জানালেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ 

তেরখাদা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান ফকির হত্যা মামলার আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম। প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার এ মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
 

নূরুজ্জামান/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়