ধর্ষণের পর হত্যা: পিতা-পুত্রসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পিতা ও পুত্রও রয়েছে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলামের আদালতে দুই আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের সাদুর ছেলে কাবুল ওরফে কালু, একই উপজেলার চাঁদগ্রামের বিশুর ছেলে মোস্তাক আলী মস্তান, তার ছেলে গোলাম রেজা রোকন এবং সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিনের ছেলে মিলন। আসামিদের মধ্যে গোলাম রেজা রোকন ও মোস্তাক আলী মস্তান পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ১২ আগস্ট তিন সন্তানের জননী ঐ নারী একটি ডালের মিলে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পরে তিনি বাসায় না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নিখোঁজের একদিন পর ভেড়ামারা থানা পুলিশ ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া এলাকায় একটি বাঁশঝাড় থেকে ঐ নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ভেড়ামারা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পরে আদালত ২৪ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

আদালতের সরকারী কৌসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, এ মামলায় সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে চার আসামি দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।