ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ইজিবাইকের চালক হত্যা মামলায় ৫ আসামির ফাঁসি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ২৫ নভেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৪:৫২, ২৫ নভেম্বর ২০২১
ইজিবাইকের চালক হত্যা মামলায় ৫ আসামির ফাঁসি

গোপালগঞ্জে ইজিবাইকের চালক জাহিদুল ইসলাম বাবু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দীর্ঘ ৯ বছর পর ৫ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। এ রায়ে আসামির প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা করেও জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।

নিহত ইজিবাইক চালক জাহিদুল ইসলাম বাবু গোপালগঞ্জ শহরতলীর মো. নজরুল মোল্যার ছেলে।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলীয়ার নতুনচর গ্রামের বাবুল ফকিরের ছেলে খালিদ ফকির, একই গ্রামের শুকুর মোল্লার ছেলে রাজ্জাক মোল্লা, চন্দ্রদিঘলীয়ার নতুনচর ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের আনিচ ফকিরের ছেলে মো. বিপুল ফকির, কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের ব্যাসপুর গ্রামের মো. খলিল শেখের ছেলে মো. হাসান শেখ ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চাচাই গ্রামের মো. খোকন মোল্লার ছেলে মো. ফসিয়ার মোল্লা। তবে রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সকল আসামিরা পলাতক ছিলেন।

আদালতে সরকার পক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো.শহিদুজ্জামান খান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ফজলুল রহমান খান মামলাটি পরিচালনা করেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ফাঁসির আসামি খালিদ ফকির তার ব্যবহৃত সেলফোন নম্বর ০১৯২৭৭৯১৭৯৮ থেকে ফোন করে জাহিদুল ইসলাম বাবুকে জেলা শহরের কাঁচা বাজার সংলগ্ন মেইন রোডে আসতে বলে। পরে ফাঁসির আসামিরা কাশিয়ানী উপজেলার ভুলবাড়িয়া ব্রিজের কাছে গিয়ে জাহিদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ দিন নিখোঁজের পরে ২ অক্টোবর ওই স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের বাবা মো. নজরুল ইসলাম মোল্যা নিজে খালিদ ফকির ও রাজ্জাক মোল্লাকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ এজাহার নামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মো. হাসান শেখের বাড়ি থেকে ইজিবাইকটি জব্দ করে। পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে এ মামলায় আরো দুইজনকে অন্তর্ভূক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ দিন মামলা চালার ও শুনানির পর আদালত ওই ৫ আসামির বিরুদ্ধে ফাঁসি ও প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।

মামলাবাদী ও নিহতের বাবা মো. নজরুল মোল্লা বলেন, ‘আমার ছেলেকে এই ৫ জনে হত্যা করেছে। দীর্ঘ দিন পর আমি ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি। এ রায়ে আমি ও আমার পরিবার খুশি। আমাদের দাবি দ্রুত এ রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। যাতে কেউ আর এ ধরনের কাজ করতে সাহস না পায় এবং কেউ যেন তার সন্তানকে এ ভাবে না হারায়।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. মোক্তার আলী জানান, এ রায়ের মাধ্যমে এ পরিবারটি ন্যায্য বিচার পেয়েছে। আশাকরি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল থাকবে এবং রায় কার্যকর হবে।

বাদল/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়