কুমিল্লায় কাউন্সিলরসহ জোড়া খুন: ৯ নম্বর আসামি গ্রেপ্তার

কার্যালয়ে ঢুকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৯ নম্বর আসামি মাসুমকে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। 

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মাসুমকে জেলার চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার। 

এ নিয়ে ওই মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে বুধবার (২৪ নভেম্বর) মামলার ৪ নম্বর আসামি মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট যৌথ অভিযান চালিয়ে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে। কোথাও পালিয়ে যেতে মাসুম চান্দিনা বাসস্ট্যান্ডে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যার ঘটনায় মামলা করেন নিহত কাউন্সিলর সোহেলের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রুমন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়ে। 

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কুসিক ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলমকে। তিনি সন্ত্রাসী ও এলাকায় মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। এছাড়া শাহ আলমের সহযোগী সোহেল মিয়া ওরফে জেল সোহেলকে মামলার ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। দুর্বৃত্তকারীরা কাউন্সিলর সোহেলকে ৯টি গুলি করে। হামলাকারীদের পিস্তলের দুটি গুলি সোহেলের মাথায়, দুটি বুকে, অন্য পাঁচটি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে।

কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বুকে ও পেটে গুলি লেগেছিল। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।