ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নির্বাচনি আচরণ বিধি মানছে না কোনো প্রার্থী

রাজবাড়ী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৮, ২৬ নভেম্বর ২০২১  
নির্বাচনি আচরণ বিধি মানছে না কোনো প্রার্থী

আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। নির্বাচনি দিন ঘনিয়ে আসায় এসব ইউনিয়নে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা। 

এলাকা জুড়ে আওয়মী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার ছেয়ে গেছে নির্বাচনি এলাকা। তবে েএ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছেনা নির্বাচন অফিসের দেওয়া বিধি নিষেধ। এমনকি বিধি নিষেধ প্রয়োগে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা চোখে পড়েনি।

বালিয়াকান্দি ও কালুখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে সরোজমিনে  ঘুরে দেখা যায়, কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের তারা দিচ্ছেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি। প্রার্থীদের ব্যানার পোষ্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে প্রচারণা। নির্বাচন কমিশনের আইন রয়েছে প্রার্থীদের পোষ্টার রশি দিয়ে টানানোর কথা। কিন্তু সেটা কেউই মানছে না। স্কুলের দেওয়াল, ঘরের দেওয়াল, ঈদগাহময়দানের দেওয়াল, শৌচাগার, গাছেও প্রার্থীদের পোষ্টার লাগানো হয়েছে। তবে প্রার্থীদের দাবি তারা আচরণবিধি মেনেই পোষ্টার লাগাচ্ছেন। 

কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। অবাধ সুষ্ঠ নিরেপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এবারও তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশা করেন। 

তিনি আরো জানান, তার কর্মীরা বিধি মেনেই নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছে।কেউ যেন দেওয়াল বা গাছে পোষ্টার না লাগায় সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ হোসেন জানান, তিনি ২৫ বছর ধরে মাঝবাড়ি ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ও তার কর্মীরা নির্বাচনি আচরণ বিধি মেনেই পোষ্টার লাগিয়েছেন। দেওয়াল বা গাছে কোনো পোষ্টার লাগানো হয়নি।

মৃগী ইউনিয়নের হারেজ প্রামাণিক জানান, টিনের ঘরে পোষ্টার লাগানো হয়েছে। কিছু দিন পরে দেখা যাবে টিনে মরিচা ধরেছে।

মাঝবাড়ি ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস শেখ বলেন, বিগত নির্বাচনের সময় দেখেছি ভোট কেন্দ্রে  মারামারি ফাটাফটি। এ বছর কেমন হবে জানি না। যদি মারামারির ঘটনা না ঘটে তাহলে ভোট দিতে যাবো। নইলে যাবো না।

জানা যায়, কালুখালী উপজেলার ৭ ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রাথী রয়েছে ৩০ জন। বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭ ইউনিয়নের রয়েছে ৩১ জন প্রাথী।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, প্রতিটা উপজেলাতে তাদের রির্টানিং কর্মকর্তারা রয়েছে। সেই সঙ্গে কাজ করছে নিবার্হী ম্যাজিস্টেটরা। অচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন তারা।

সুকান্ত/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়