বাড়ি থেকে একে একে বের হলো ১৭ বিষধর সাপ
চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
চাঁদপুরের কচুয়ার তেতুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খিড্ডা গ্রাম থেকে ১৭টি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাড়াইশ, গোখরা, দুধরাজ সাপ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দিনব্যাপী সাপগুলো উদ্ধার করে সাপুড়েসহ স্থানীয়রা।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাজী বাড়ির গৃহকর্তী অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা রাজু।তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকার মো. হাকিম আলী হাজীর বাড়িসহ তার প্বার্শবর্তী দুটি বাড়ি থেকে জীবন্ত অবস্থায় বড় আকারের ৪টি ও ছোট ৭টি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিনে, আরও ৬টি বিষধর সাপ আমাদের হাজী বাড়ির বাসিন্দারা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এই সাপগুলোর মধ্যে দাড়াইশ ও গোখরা রয়েছে।’
রাজিয়া সুলতানা রাজু আরও বলেন, ‘আমার স্বামী মৃত মেজর এম এফ রহমানের এই বাড়িটি অনেক পুরানো। বেশ কিছুদিন ধরে এখানে প্রায়ই সাপ বের হতো। এতে আমি আতঙ্কিত ছিলাম। পরে এক সাপুড়েকে ডেকে এনে বাড়ির বিভিন্ন স্থান থেকে সাপগুলো উদ্ধারের ব্যবস্থা করি। সাপুড়ে বলেছেন, এখানে এখনো বড় ২/৩টি বড় সাপ রয়েছে। তাই আতঙ্কে আছি।’
সাপুড়ে সর্পরাজ মো. সাহাবুদ্দিন কবিরাজ বলেন, ‘খিড্ডা গ্রাম থেকে প্রায় ৬ হাত লম্বা ১টি গোখরা, প্রায় ৮ হাত লম্বা ১টি দুধরাজ ও ১টি বড় সাইজের খইয়া গোখরাসহ ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১৭টি বিষধর সাপ উদ্ধার করেছি। মোট ৬ জনের সাপুড়ের টিম এই সাপ ধরার অভিযানটি পরিচালনা করেছি। একটি বড় বিষধর গোখরো সাপ তার বিষ আমার চোখে ছুঁড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমি এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার সাথীরা আমাকে কচুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছি।’
মো. সাহাবুদ্দিন কবিরাজ আরও বলেন, ‘সেনাকর্মকর্তার বাড়ির বড় সাপগুলোর মধ্যে ২টি স্ত্রী সাপ ধরা পড়লেও আমরা পুরুষ সাপ ধরতে পারিনি। কারণ সেদিন পুরুষ সাপ ২টি বাড়িতে ছিলো না। সেগুলো আহারের জন্য হয়তো বাহিরে ছিলো। দ্রুত আমরা সেগুলো উদ্ধারে অভিযান দিবো।’
এদিকে, বিষধর পুরুষ সাপ রয়েছে শোনার পর থেকে আতঙ্কে বাড়ি থাকছেন না রাজিয়া সুলতানা রাজু। এই সাপ আতঙ্ক দূর করতে দ্রুত প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
অমরেশ/বুলাকী
আরো পড়ুন