ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

আ. লীগ প্রার্থীর পরিবারের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ

চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ২৭ নভেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৯:৫১, ২৭ নভেম্বর ২০২১
আ. লীগ প্রার্থীর পরিবারের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ

চতুর্থ ধাপে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। ৫ নম্বর হাইমচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জুলহাস সরকারের পরিবারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার মজুমদার এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মকবুল সরকার জুলহাস সরকারের বাবা মো. জলিল সরকার এবং চাচা মো. হামিদ সরকার ‘রাজাকার’ ছিলেন বলে চিহ্নিত করেছেন।

গত ২৪ নভেম্বর হাইমচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার প্রার্থী মনোনীত করার পর বিষয়টি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নজরে আসে। পরদিন বিষয়টি জানিয়ে সন্তোষ কুমার মজুমদার প্রধানমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বরাবর লিখিত দরখাস্ত দেন। এ সময় দরখাস্তের অনুলিপি গণমাধ্যমে দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে মকবুল সরকার বলেন, ‘জুলহাস সরকারের চাচা হামিদ সরকার শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। যুদ্ধকালীন চাঁদপুর শহরে মুক্তিবাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার (জুলহাস সরকার) বাবা জলিল সরকার ছিলেন শান্তি কমিটির সদস্য। সে সময়ের সবাই বিষয়টি জানেন। কিন্তু তারা যেহেতু মারা গেছেন সে কারণে তাদের নাম আলোচনায় আসেনি। এখন রাজাকার ও স্বাধীনতা-বিরোধীর সন্তান নৌকার প্রার্থী হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেনে নিতে পারি না।’

সন্তোষ কুমার মজুমদার স্বাক্ষরিত প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরিত দরখাস্তে অভিযুক্ত দুজনের কর্মকাণ্ডের বিবরণ রয়েছে। দরখাস্ত অনুযায়ী হামিদ সরকার কৃতকর্মের শাস্তিস্বরূপ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হন। জলিল সরকার চাঁদপুর শহরে থাকতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি হাইমচরে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে মারা যান।

এ দিকে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুলহাস সরকার বলেন, ‘আমার বাবা এবং চাচা কেউ-ই রাজাকার ছিলেন না। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যও ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধকালীন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।’

জুলহাস সরকার ১২ বছর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বড় ভাইও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব অভিযোগ করছে।’ 

অমরেশ/তারা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়