ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ঘুষ দাবির অভিযোগে জেলা পরিষদে নিয়োগ স্থগিত 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ২৭ নভেম্বর ২০২১  
ঘুষ দাবির অভিযোগে জেলা পরিষদে নিয়োগ স্থগিত 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার (২৪ নভেম্বর) দ্রুত নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।  

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে একজন, অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) পদে দুইজন ও নৈশপ্রহরি পদে একজনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ৫৪ জন, অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) পদে ৭৪ জন ও নৈশপ্রহরি পদে ১১ জন আবেদন করে।  

গত ২২ নভেম্বর নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) পদের লিখিত পরীক্ষা হয়। নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ৩৬ জন এবং অফিস সহায়ক পদে ৫৪ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু পরীক্ষার একদিন পর গত ২৪ নভেম্বর অনিবার্য কারণ উল্লেখ করে নিয়োগপ্রক্রিয়া সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির প্রধান আমিনুল ইসলাম।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগপ্রক্রিয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মঈন উদ্দিন, সিভিল সার্জনের একজন প্রতিনিধি, জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব হিসেবে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী।

জেলা পরিষদের সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার পদের এক প্রার্থীর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। ওই প্রার্থী তিন লাখ টাকা দিতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। 

জেলা পরিষদ সদস্য আইয়ুব আলী দাবি করেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একাই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নিয়োগ পরিষদের একজন সদস্য তার এক প্রার্থীকে চাকরি দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু আমরা নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া করতে চেয়েছিলাম। পরে তিনি নানা অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীরাও অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইছেন। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।’ 

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও আমি তিনজন মিলে প্রশ্ন তৈরি করেছি।’ তার বিরুদ্ধে ওঠা টাকা দাবির অভিযোগ সত্য না বলে জানান আমিনুল ইসলাম।  

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই নিয়োগের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত না।’ 
 

রুবেল/বকুল 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়