ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

এলাকায় চাঞ্চল্য, প্রার্থীর নিজের ভোট গেলো কই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৬, ৩০ নভেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৩:৩৬, ৩০ নভেম্বর ২০২১
এলাকায় চাঞ্চল্য, প্রার্থীর নিজের ভোট গেলো কই

কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী নজরুল ইসলাম একটি ভোটও পাননি। তিনি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। 

ফলাফলপত্রে তার ভোটের সংখ্যা শূন্য। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। প্রার্থী লজ্জায়-ক্ষোভে ভোট পুনরায় গণনার আবেদন করেছেন। 

তৃতীয় দফায় রোববার (২৮ নভেম্বর) নাগেশ্বরী উপজেলার ১৩ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডে সদস্যপদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নজরুল ইসলাম। প্রতীক পাওয়ার পর বিজয়ী হতে অন্যান্য প্রার্থীর মতো তিনিও মাঠে সরব ছিলেন। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। ভোটের দিন কেন্দ্রে তার এজেন্টও ছিল। অথচ রোববার ভোটের পর দেখা যায় তিনি একটি ভোটও পাননি। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে- প্রার্থীর নিজের ভোট কোথায় গেল? 

ভোটের ফল মেলাতে পারছেন না নজরুল ইসলাম নিজেও। এদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীপ্রার্থী নুরজামাল শেখ ফুটবল প্রতীকে ৭১৬, ফজলে রহমান বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৪ এবং সফিকুল ইসলাম তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৭৭ ভোট।

নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। লজ্জায় বাইরে যেতে পারছি না। কাল থেকে নিজেকে আমি প্রায় ঘরবন্দি করে ফেলেছি। ভোটের কথা মনে উঠলেই হাউমাউ করে কান্না আসছে। যদি কর্মী-সমর্থকরা আমাকে ধোঁকা দেয় তারপরেও আমি, আমার স্ত্রী মেহরা খাতুন, বড় ছেলে মফিজুল ইসলাম, তার স্ত্রী কল্পনা খাতুন, মেজ ছেলে এনামুল হক, তার স্ত্রী ফরিদা বেগমসহ রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় স্বজনরা ভোট দিলে অন্তত ১৫০ থেকে ২০০ ভোট পাওয়ার কথা। সেখানে শূন্য। আমি এটা মেনে নিতে পারছি না। রাতেই আমি সংশ্লিষ্ট অফিসে আবারও ভোট গণনার আবেদন করেছি।

আইনি পদক্ষেপ নেবেন কিনা? জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, আমি আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আমার টাকা-পয়সা নেই এবং লোকজনের অভাব। 

তবে এ বিষয়ে রামখানা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিতপ্রার্থী আব্দুল আলীম সরকার জানান, নজরুল ইসলাম তার পরিবারের বাইরে একটি ভোট পাওয়ারও যোগ্য ছিলেন না। তিনি একজন প্রার্থীর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল কেউ যেন তাকে টাকা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেন। 

আব্দুল আলীম সরকার বলেন, আমার ধারণা নজরুলসহ তার পুরো পরিবার ভোট দিয়েছেন তারই মনোনীতপ্রার্থী একই ওয়ার্ড সদস্য পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নুরজামালকে। 

এদিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আনোয়ার হোসেন নজরুল ইসলামের ভোট পুনঃগণনার আবেদন পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, এটি আইনিভাবে মোকাবিলা করার জন্য তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সৈকত/টিপু/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়